নীলফামারীতে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডোমারে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সোলায়মান আলীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি নীলফামারী জেলা শাখা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরে চৌরঙ্গী মোড়ে ঘন্টাব্যপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

নীলফামারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবি প্রসাদ রায়ের সভাপতিত্বে সেখানে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিসিএস সাধারন শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, নীলফামারী সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান) আনিছুর রহমান, মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর দিদারুল আলম, ডোমার সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, সদরের উত্তর চওড়া বড়গছা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

মানববন্ধনে সভাপতি বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষক যদি এভাবে লাঞ্চিত হয় তাহলে জাতি অবশ্যই লাঞ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী ডোমার সরকারী কলেজের প্রভাষককে যে ভাবে লাঞ্চিত করেছে তা সমাজের কোন মানুষেই মেনে নিতে পারবে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

এ সময় জাহেদুল ইসলাম বলেন, অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। সন্ত্রাসী শান্তু ও সৈকতসহ তাদের সহযোগীদের বহিস্কারের দাবি করেন। যদি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বহিস্কার করা না হয় তাহলে আমরা কলেজ প্রত্যাক্ষান করবো বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্ত, সৈকতসহ তাদের সহযোগী ১৬-১৭ জন সন্ত্রাসী প্রভাষক সোলায়মান আলীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তৃতীয় তলা থেকে মারতে মারতে নিচতলা একাডেমিক ভবনে নিয়ে আসে।

এতে সোলায়মান আলী গুরুতর অসুস্থ হলে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবিষয়ে প্রভাষক সোলায়মান আলী নিজে বাদী হয়ে কলেজ পাড়ার মাছ বিক্রেতা লিটনের ছেলে শান্ত, ও ছোট রাউতা সাহাপাড়া এলাকার আনজারুল চৌধুরীর ছেলে সৈকত চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা ১৬-১৭ জনকে আসামী করে ডোমার থানায় মামলা (যার নং ০৮, ০৭-০৯-১৯) দায়ের করেন।

এ ঘটনায়, পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে নাজিমুল ইসলামকে (১৭) ঘটনার দিন সকাল ১১ টায় সরকারী কলেজ গেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.