অভিনব পদ্ধতিতে ভোক্তা ঠকিয়ে সাজা

সিরাজুম সালেকীন

মেয়াদউত্তীর্ণ কোরিয়ান নুডুলস। তবে কেউ যেন বুঝতে না পারে, সে জন্য প্যাকেটের মোড়কে সব তথ্য লেখা হয়েছে চীনা ভাষায়। তবে এই কৌশল করেও পার পায়নি একটি প্রতিষ্ঠান। সচেতন ভোক্তার তীক্ষ্ণ নজরে ঠিকই ধরা পড়েছে এই অপকর্ম।

গত ২৫ আগস্ট ভুক্তভোগী এক নারী বনানীর একটি দোকান থেকে বিদেশি ওই নুডলস কেনেন। কোরিয়ান নুডলস জেনে মান ভালো হবে ভেবে ‘কিমচি রামিন’ নামে নুডলস কেনেন। তবে বাসায় গিয়ে মোড়কের সামনে এবং পেছনের দিকের ভাষার অমিল দেখে তার সন্দেহ হয়। পরে বুঝতে পারেন, পেছনে লেখা চীনা ভাষা। তবে কোনো একটি ভাষাও বুঝতে পারছিলেন না তিনি।

পরে গুগলের সহায়তা নেন ওই নারী। সার্চ দিয়ে নানাভাবে চেষ্টা করে জানতে পারেন পাঁচ মাস আগেই নুডলসটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আর তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে।

রবিবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শিউল মার্টকে ডাকা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। শুনানি শেষে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের দায় স্বীকার করে। পরে জরিমানা করা হয় ৪০ হাজার টাকা।

অধিদপ্তরের শুনানিতে জরিমানা হলে তার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী পায়। আর এই হিসাবে জরিমানা আদায় করে অভিযোগ করা এই নারীকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বনানীর শিউল মার্ট নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান নুডুলস আমদানি করেছিল। সেই নুডুলসের প্যাকেটে চাইনিজ ভাষায় লেখা ছিল। যাতে কেউ মেয়াদ, মূল্য বুঝতে না পারে। এভাবে প্রতারণা করার বিষয়টি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন এই ভুক্তভোগী।’

‘আমরা শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা পাই। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।’

শুনানিতে শিউল মার্টের ব্যবস্থাপক তাদের অপরাধ স্বীকার করলেও তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.