আত্মগোপনেও শেষ রক্ষা হয়নি চালক মোর্শেদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে নারিকেল গাছে উঠে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ট্রাস্ট পরিবহনের চালক মোর্শেদের। রবিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের একটি দল তাকে রাজধানীর কাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

২৭ আগস্ট ডিওএইচএস থেকে শাহবাগের উদ্দেশে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৯১৪৫) বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরীকে চাপা দেয়। এতে ওই নারীর একটি বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উদ্ধার করে প্রথমে হলি ফ্যামেলি হাসপাতাল, পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়।  এই ঘটনায় কৃষ্ণা রায়ের স্বামী বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন। দুর্ঘটনার পর সুকৌশলে আত্মগোপনে যান ঘাতক চালক মোর্শেদ।

ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর মোর্শেদ বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে যাত্রীদের হাতে মারধরের শিকার হন। পরে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহিমপুরের ভাড়া বাসায় গিয়ে সেখান থেকে চলে যান কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার নামাপাড়ার বড়টিয়াপাড়া গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই পাঁচ দিন ধরে অবস্থান করছিলেন। মোবাইল ফোনের সিমও পরিবর্তন করেন। দিনে নিজ বাড়ি থাকলেও রাতে থাকতেন প্রতিবেশীর বাড়িতে।’

‘ঘটনার পর মোর্শেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কিশোরগঞ্জের তার গ্রামের বাড়িতে যাই। কিন্তু চতুর মোর্শেদ বাড়ির নারিকেল গাছে ওঠে আত্মগোপন করেন। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঢাকায় ফিরে আসি। পরে বাড়ি ছেড়ে আবার রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেন। জানতে পারি গাজীপুর হয়ে কাজীপাড়ায় আসছেন। পরে তাকে কাজীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

পিবিআিই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তার মোর্শেদ মিডিয়াম ক্যাটাগরির যানবাহন চালানোর লাইসেন্সধারী। ঈদের আগে তিনি প্রাইভেটকার চালিয়েছিলেন। ভারী পরিবহন চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলেও গত ২৭ আগস্ট প্রথমবারের মতো হাত রাখেন ট্রাস্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের বাসের স্টিয়ারিংয়ে। প্রথম দিনই ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরীকে চাপা দেন তিনি।’

মোরশেদ দাবি করেছেন, ট্রাস্টের ওই বাসটিতে সমস্যা ছিল। ব্রেক করতে গিয়েও ব্রেক হচ্ছিল না। আর এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.