মামী শাশুড়ীর সাথে অবৈধ অন্তরঙ্গ মেলামেশার সময় হাতে-নাতে ধরা: পড়ে বিয়ে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবার মামীর সাথে পরকীয়ার জেরে অন্তরঙ্গ মেলামেশা করার সময় হাতে-নাতে ধরা পড়েছে এক পল্লী
চিকিৎসক । অতঃপর এলাকাবাসী তাদের দুজনের মধ্যে মালাবদল-সিঁদুর পড়ানোর মাধ্যমে বিবাহ নিশ্চিত করে । নারায় নানার শ্রাদ্ধ খেতে এসে মামী শাশুড়ীর সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় স্বামীর হাতে ধরা পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় বিরামপুর উপজেলার মোকন্দপুর ইউনিয়নের উরমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মেয়ের পিতা বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

 

সূত্র মতে, পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মৃত রত্নেশ্বরে’র পুত্র পল্লী চিকিৎসক বিপুল সরকার (৩৮) । তার মামাশ্বশুড় বিরামপুর উপজেলার মোকন্দপুর ইউনিয়নের উরুমা গ্রামের নীশিকান্তর’র সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের লালমন রায়ের কন্যা শিল্পী রানী (১৯)’র । এই বিয়েতে ঘটকালি করে পল্লী চিকিৎসক বিপুল সরকার । সেই সুবাদে মামার বাসায় তার অবাধ যাতায়াত ছিল । একপর্যায়ে পল্লী চিকিৎসক বিপুল সরকার এবং মামী শিল্পীর মধ্যে মন দেয়ানেয়া থেকে শারীরীক মেলা-মেশা শুরু হয় ।

 

সম্প্রতি নীশিকান্তরের বাবা মারা গেলে গত বুধবার ছিল শ্রাদ্ধের দিন। সেদিন শ্রাদ্ধ খেতে গিয়ে বিপুল সুযোগ বুঝে শিল্পীর শোবার ঘড়ে প্রবেশ করে দৈহিক মেলামাশা করার এক পর্যায়ে বিপুলের মামা নীশিকান্তর তাদের হাতে- নাতে আটক করে । এরপর পুরো গ্রামে হৈচৈ শুরু হলে রাতে সালিশ বসে । পর দিন বৃহস্পতিবার গ্রামের লোকজন এসে এলাকার চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে এনে শিল্পীর মা বাবার উপস্থিতিতে শিল্পী কে শাখা সিদুঁর পরিয়ে ও মালা বদল করে দু’জনের বিয়ে সম্পন্ন করা হয় । কিন্তু এ ঘটনার পর লম্পট পল্লী চিকিৎসক একা তার নিজ গ্রাম পার্বতীপুরের নারায়নপুর ফিরে যায় । লোকজন তার মামী শিল্পীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে কিছু জানাতে অস্বীকার করে।

 

এদিকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ করেও শিল্পীর কোন সন্ধান না পাওয়ায় শিল্পীর বাবা লালমন রায় বাদী হয়ে পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পার্বতীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি বিরামপুর উপজেলায় ঘটায় এখনও মামলা রেকর্ড করা হয়নি । তবে ঘটনা তদন্তে পরিদর্শক (তদন্ত) আঃ রাজ্জাক কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.