শেরপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হাডুডু খেলার আয়োজন রাণীনগর যুব সমাজের

মোঃ সেলিম রেজা, স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ঃ আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে শিশু কিশোরদের মধ্যে আসছে নতুন নতুন খেলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার ও ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খেলাধুলা। মহাকালের পাতা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ খেলা। বই পুস্তকে খেলার নাম দেখলেও বাস্তবে খেলার সুযোগ হয়ে উঠেনি এমন শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। আর হারিয়ে যাওয়া খেলায় যুক্ত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি (হাডুডু) খেলার নামও। যা আমাদের দেশের জাতীয় খেলা। এই হাডুডু খেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার রাণীনগর গ্রামের যুব সমাজ কর্তৃক আয়োজন করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই হা-ডুডু খেলাটি।

গত শুক্রবার (৩০শে আগষ্ট) বিকালে উপজেলার রাণীনগর গ্রামে অনুষ্ঠিত এ খেলায় অংশ নেয়, বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার সোনামুখী ও শেরপুর উপজেলার খামারকান্দির দুটি দল। দুটি দলে নয়জন করে মোট ১৮ জন খেলোয়ার খেলায় অংশগ্রহণ করে। এই খেলায় সোনামুখী দল ৫/১ ডাং (আঞ্চলিক) খামারকান্দি দলকে পরাজিত করে। খেলাটি পরিচালনা করেন, মোঃ শাহীন হোসেন ও সহযোগী আব্দুর রাজ্জাক এবং নবাব আলী।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডুডু খেলা দেখে আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি, এটিএন বাংলার বিজনেস ইন বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান, জাহান টিভির চেয়ারম্যান এবং উত্তরবঙ্গ সাংবাদিক সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন- প্রতিটি দেশের একটি জাতীয় খেলা থাকে। আমাদের জাতীয় খেলা হাডুডু বা কাবাডি। কিন্তু কালক্রমে এই খেলার কদর দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। আগে স্কুল ভিত্তিক আন্তঃস্কুল বা থানা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন চোখে পড়ত। বর্তমানে সেটাও চোখে পড়ে না। নতুন প্রজন্মের কাছে কাবাডি খেলাটি অপরিচিত হয়ে উঠছে। বিলুপ্ত প্রায় এই খেলাটি ধরে রাখার জন্যই প্রতিবছর কাবাডি (হাডুডু) খেলার আয়োজন করার জন্য ও নতুন প্রজন্মকে এই খেলা সম্পর্কে জানানোর জন্য রাণীনগর যুব সমাজকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.