না.গঞ্জ এবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে: শামীম

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা দলকে ধ্বংস করার চেষ্টায় নেতা-ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিচ্ছে। এমন দাবি করে দলটির স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, যদি কেউ গেম খেলতে চেষ্টা করে, কেউ যদি ফুলের আঁচড় দেওয়ার চেষ্টা করে নারায়ণগঞ্জ এবার দাউ দাউ করে জ¦লে উঠবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এম ডব্লিউ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের শোক র‌্যালির আগে পথসভায় এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র‌্যালিটি আয়োজিত হয়।

সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি দেখছি যাদের রাজনীতি করার কথা নয়, যাদের কাজ জনগণের জন্য, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা লালিত-পালিত, তারাও এখন অনেকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে চান। তারাও এখন লোকাল পলিটিক্সে ইনভল্ব হতে চান।

বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। বলেন, ‘অনেকে আবার ষড়যন্ত্র করে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগকে খতম করার জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থক, ব্যবসায়ীদের নামে মামলা দেওয়া হয়। তাও আবার মার্ডার কেস।’

তিনি হুঁশিয়ারি করে বলেন, ‘আর এক দিন আছে শোকের মাসের। এরপর আর কালো পতাকা থাকবে না। যদি কেউ গেম খেলতে চেষ্টা করে, কেউ যদি ফুলের আঁচড় দেয়ার চেষ্টা করে, নারায়ণগঞ্জ এবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। এই শপথ আজ নেতকর্মীদের নিয়ে করলাম।’

ষড়যন্ত্র কারা করছে, তাদের নাম উল্লেখ না করে তাদের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে এই সাজানো সংসারে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটাবেন, শান্ত নারায়ণগঞ্জ দেখেছেন, নারায়ণগঞ্জের অশান্ত তো দেখেন নাই। এই নারায়ণগঞ্জ জায়গাটা হচ্ছে একদিকে শীতলক্ষ্যা, একদিকে বুড়িগঙ্গা, একদিকে মেঘনা। কখন স্রোত, কখন ভাটা উঠবে অনেকের জন্য এটা বোঝা অনেক মুশকিল। আমরা যারা এখানকার বাসিন্দা তারা এটা বুঝি।’

নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন শামীম ওসমান। বলেন, ‘আপনারা সজাগ থাকেন, ঐক্যবদ্ধ থাকেন। বাংলাদেশে মনে হয় এখন সবাই আওয়ামী লীগ করে। মনে হয় আওয়ামী লীগের বাইরে কেউই নাই। আর যারা অরিজিনাল আওয়ামী লীগ করে এরাই মনে হয় এখন আওয়ামী লীগ না, অন্য কিছু হয়ে গেছে।’

নারায়ণগঞ্জে বিশেষভাবে এই ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে শামীম বলেন, ‘অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টা করে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাজনীতি করার চেষ্টা করে। জামাতের সাথে আতাঁতাকারীরা আওয়ামী লীগের সামনের সারির নেতা হওয়ার চেষ্টা করে। দুর্নীতিবাজরা নীতিবাজের কথা শোনায়। আমার কাছে সবকিছুর প্রমাণ আছে।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান বেপারী, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালীপদ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতি, জেলা কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হেকিম, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু, নাসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক, কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দিপু, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন নাজু, আনিসুর রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.