এক সঙ্গে ডিনারে মেসি-রোনালদো

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সবুজ মাঠে তাঁরা যখন খেলতে নামেন যেন ফুল ফুটতে থাকে বাগানে। তাঁদের নিখুঁত পাস, ডিফেন্স চেরা থ্রু, অনায়াস ড্রিবলিং বার বার অবাক করে দেয় দর্শকদের। গত পনেরো বছর ধরে তাঁরা আনন্দ দিয়ে আসছেন ফুটবল ভক্তদের। প্রতি মুহূর্তে দাঁড়িপাল্লায় তাঁদের মাপা হতে থাকে তা ভালই জানেন দু’জনেই। একজনকে বিদ্রুপ করা হয় আন্তর্জাতিক ট্রফি না পাওয়ার জন্য, অন্যজনকে শুনতে হয় তিনি নাকি কমপ্লিট ফুটবলার হয়ে উঠতে পারেননি। ঝগড়া চলতে থাকে ফ্যানেদের মধ্যে কে বেশি ভাল ফুটবলার সেই নিয়ে। একজন হ্যাটট্রিক করলে অপরজনের থেকেও হ্যাটট্রিকের আশায় থাকেন তাঁর ভক্তরা। তাঁরা হলেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

কিন্তু তাঁদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন? তাঁরাও কি ভক্তদের মতো একে অপরের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন? মাঠের মধ্যে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়া মেসি-রোনালদো মাঠের বাইরে বন্ধু নাকি শত্রু? বৃহস্পতিবার এ বারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ নির্বাচন হয়ে গেল। সেই অনুষ্ঠানে দেওয়া হল গত বারের সেরার পুরস্কার। মেসি সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার পেলেও, রোনাল্ডোর ভাগ্যে কোনও পুরস্কার জোটেনি। সেই অনুষ্ঠানে পাশাপাশি বসেছিলেন ফুটবলের ইতিহাসের সেরা দুই খেলোয়াড়। নিজেদের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবেই কথা বলতে দেখা যায় তাঁদের। সেখানে প্রশ্ন করা হলে রোনালদো বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে এই মঞ্চ ভাগ করে নিচ্ছি। আমরা দু’জন ছাড়া আর কেউ নেই এত বছরে। এটা সহজ নয়। আমাদের সম্পর্ক দারুণ। যদিও আমরা কোনও দিন এক সঙ্গে ডিনারে যাইনি, কিন্তু সেটা দেখা যেতেই পারে ভবিষ্যতে।’

রোনালদো আরও জানান যে জুভেন্তাসের হয়ে ইতালিতে তিনি দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। শেষ মৌসুমে তিনটি ট্রফিও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময়টা তিনি ভুলতে পারবেন না। সেই সময় মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ শুধু ফুটবলপ্রেমীরা নয় উপভোগ করেছেন তাঁরাও। তিনি বলেন, ‘একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ আমাদের দু’জনের খেলারই উন্নতি ঘটিয়েছে। ও ভাল খেললে আমি উন্নতির চেষ্টা করেছি , আমি ভাল খেললে লিও সেই চেষ্টা করেছে।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.