- The story of Idris Ali, a humanitarian police inspector of Dhanbari police station - October 19, 2024
- গণঅভ্যুত্থানে শাহাদৎ বরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ধনবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে - October 19, 2024
- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
ভারতের কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার বাতিল নিয়ে দেখা দেওয়া নতুন উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই বিষয়টি ভারতের নিজেদের বিষয় বলে মনে করে ঢাকা।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মনে করে যে ভারতীয় সরকার কর্তৃক (সংবিধানের) ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
তবে শান্তি ও উন্নয়নের বিষয়টি সবার অগ্রাধিকারে থাকা বলেও মনে করে ঢাকা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সর্বদা নীতিগত বিষয় হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়টিও সব দেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ভারত সরকার। এর মাধ্যমে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে ‘জম্মু ও কাশ্মীর’ এবং ‘লাদাখ’ নামে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ রাজ থেকে স্বাধীনতার এক বছরের মধ্যেও কাশ্মীর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাচ্ছিল না। এর একটি অংশ বর্তমানে পাকিস্তান, একটি অংশ চীন এবং সবচেয়ে বড় অংশ ভারত নিয়ন্ত্রণ করে।
ভারতীয় অংশের কাম্মীর নিয়ে মসুলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া আছে। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সংঘাত নিয়মিত চিত্র।
তবে কাশ্মীরের আলাদা একটি মর্যাদা ছিল ভারতে। তাদের আলাদা পতাকা, সংবিধান, আইন প্রণয়নের স্বাধীনতাও ছিল তাদের। সম্পদের মালিকানা ও মৌলিক অধিকারের বিষয়ে নিজেরাই নীতি প্রণয়ন করতে পারত তারা। এমনকি রাজ্যের বাইরের আরো সেখানে জমি কেনাও নিষিদ্ধ ছিল। শুধু পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
তবে বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ায় বাইরের মানুষদ এখন সেখানে জমি কিনতে পারবে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছে, এতে সেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকে পাল্টে দিতে চায় বিজেপি।