বালু উত্তোলন বন্ধ কালিহাতীতে যমুনার ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

0

 

মেহেদী হাসান চৌধুরী, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার যমুনা নদীতে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও যমুনা তীরবর্তী ৭ গ্রামের মানুষের পৈত্রিক ভিটেবাড়ী রক্ষার্থে সরকারের নেই কোন স্থায়ী পদক্ষেপ। প্রমত্তা যমুনার ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী।

যমুনা খর¯্রােতা হওয়ার কারণে প্রতিবছর তীরবর্তী মানুষের বসতভিটা ভেঙে নিঃস্ব হয় শতাধিক পরিবার। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নিকট দীর্ঘদিন যাবৎ ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও তাদের কোন পদক্ষেপ না থাকায় এলাকাবাসী দিশেহারা। নদী ড্রেজিং বন্ধের চেয়ে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ জরুরী বলে মন্তব্য করেন আফজালপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাক মেম্বার।

সিংগুলি গ্রামের আঃ মান্নান, আলীপুর গ্রামের লিয়াকত, দেলোয়ার, আইয়ুব আলী, আনিছুর, শরীফুল, হাকিম, বেলটিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর, মোশারফ সহ শতাধিক ভূক্তভোগি বলেন, যমুনার ভাঙনে প্রতি বছরই আমাদের বাড়ীঘর, গবাদি পশু, ফসলহানি সহ নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য অনেকে শুধুমাত্র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে দায়ী করলেও প্রকৃতপক্ষে সরকারী তত্ত্বাবধানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে এ সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। তারা বলেন, এক বছর যাবৎ নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়েছে, কিন্তু আমাদের যমুনা তীরবর্তী মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। বরং নদীতে বালু উত্তোলন চলাকালে স্থানীয় অর্ধ সহ¯্রাধিক কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

তারা আরো বলেন, যমুনা নদীর কালিহাতী এলাকায় বালু উত্তোলিত হলে ভূঞাপুর অংশের বালু ব্যবসায়িদের ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তাই তারা আলীপুর, ভৈরববাড়ী, সিংগুলি, বেলটিয়া, বেড়ীপটল গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অর্থ যোগান দিয়ে কালিহাতী অংশের বালু ঘাট বন্ধের পায়তারা করে। ভূঞাপুরের বালু ব্যবসায়ি দুলাল চকদার, মতিন সরকার ও মাসুদ মেম্বার দীর্ঘদিন বালু ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

ভূঞাপুরের বালু ব্যবসায়ি ও নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মতিন সরকার বলেন, কালিহাতী অংশে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলে আমাদের ব্যবসা চাঙ্গা হয়। তবে অর্থ যোগান দিয়ে মানববন্ধন করিয়েছি একথা সত্য নয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, যমুনার ভাঙন কবলিত এলাকায় ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত ৫১ কি.মি. দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারী অনুমোদন পেলেই বাঁধের কাজ শুরু হবে।

Leave A Reply