- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
জাতীয় পার্টির আমলের তথ্যমন্ত্রী মিজানুর রহমান শেলী মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
শেলীর ছেলে আরিফ ইবনে মিজান গণমাধ্যকর্মীদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তার বাবা। মাসখানেক আগে তার স্ট্রোকও হয়েছিল।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সের চেয়ারম্যান শেলী বেসরকারি গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিডিআরবি) প্রধান ছিলেন। সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মিজানুর রহমান শেলী ১৯৪৩ সালে মুন্সীগঞ্জের কুসুমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই কর্মজীবন শুরু করেন।
শিক্ষকতা ছেড়ে ১৯৬৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন শেলী। চাকরিতে থাকা অবস্থায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পিএইচডি করেন।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক থাকা অবস্থায় ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন শেলী। পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের তথ্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
সাপ্তাহিক ‘সচিত্র স্বদেশ’ এর উপদেষ্টা সম্পাদক এবং ইংরেজি দৈনিক ‘বাংলাদেশ টাইমস’ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেলী বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখতেন। সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিষয়ক বই ছাড়াও কবিতা, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন তিনি।
মিজানুর রহমান শেলীর স্ত্রী সুফিয়া রহমান ২০১৬ সালে মারা যান। আরিফ ইবনে মিজান ও তাহমিদ ইবনে মিজান তাদের দুই সন্তান।
হাবিবুর রহমান শেলীর মরদেহ শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্তমতে আগামী বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার দাফন করা হতে পারে।