- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
ভয়াবহ আকার ধারণ করা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও মারা গেছেন তিনজন। ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহীতে সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে নাজমা আক্তার, গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে অভিজিৎ সাহা এবং রাজশাহী মেডিকেলে আবদুল মালেক নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাতে মারা গেছেন মনিরুল ইসলাম নামে লালমনিরহাটের এক ব্যবসায়ী। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীসহ মারা গেছেন আরও তিনজন।
রবিবার বিকালে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন নাজমা আক্তার। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, স্বজনরা লাশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে সোমবার ভোরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ সাহা নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
অভিজিৎ সাহা নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়ার মন্টু সাহার ছেলে। সে চাষাঢ়ায় মাউন্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী।
অভিজিতের মামাতো ভাই অজয় সাহা জানান, অভিজিৎ গত সোমবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। বমির সঙ্গে রক্ত যেত তার। শুরুতে তাকে নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, এ জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল মালেক নামের এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে এই প্রথম কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন আবদুল মালেক। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
আবদুল মালেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার বহরম হাউসনগর মহল্লার গোলাম নবীর ছেলে। তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।