- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
এবার সড়ক পথের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে উত্তরের মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতু ভোগাচ্ছে তাদের। রেলেও ভোগান্তি একই পথের যাত্রীদের।
ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো কমলাপুর ছাড়ছে চার, পাঁচ, ছয় বা তার চেয়ে বেশি দেরিতে। স্বভাবতই দুর্ভোগ উঠেছে চরমে।
কমলাপুর প্লাটফর্মে যত যাত্রীর অপেক্ষা, তার মধ্যে বেশিরভাগই উত্তরের পথের।
বরাবর উত্তরের যাত্রার ট্রেনগুলো ঈদে সময়মতো চলতে পারে না। যদিও চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের ট্রেনগুলো মোটামুটি সময় মেনেই চলেছে।
ঈদযাত্রায় ঢাকায় বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠা ভীষণ কঠিন। তাই যারা এমনিতে এই স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেন, তাদের একটি বড় অংশ চলে এসেছেন কমলাপুরে। ভেবেছিলেন ভোগান্তি কমবে, কিন্তু ট্রেন আসার নাম নেই, তাই কষ্ট আরও বেড়েছে।
জাহিদ হোসেন পুলিশ বাহিনীর সদস্য। ‘লালমনি ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনে করে বাড়ি যাবেন। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে উঠতে পারবেন না বলে সকাল আটটায় কমলাপুর স্টেশনে চলে আসেন। ট্রেন ছাড়ার কথা সকাল নয়টায়। কিন্তু বেলা দেড়টাতেও ট্রেন আসার খবর নেই।
লালমনি ঈদ স্পেশালে বাড়ি যাবেন বলে সালমা বেগমও এসেছেন উত্তরা থেকে। সঙ্গে তিন বছরে কন্যা ও চার মাসের মাইশাকে নিয়ে সকাল সাতটা থেকে অপেক্ষায় ছিলেন। নিজেদের কষ্ট যেমন তেমন, সন্তানের সমস্যা সালমাকে ভোগাচ্ছে বেশি।
ট্রেনটি বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকায় আসবে বলে জানানো হয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্র থেকে। আর ছাড়তে ছাড়তে বেজে যাবে বিকাল অন্তত চারটা। সেটি হলে নির্ধারিত সময়ের সাত ঘণ্টা পর ছাড়বে ট্রেননি।
নীলফামারীর চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল আটটায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রেনটি সাড়ে চার ঘণ্টা দেরিতে বেলা সাড়ে ১২টায় ছেড়ে গেছে।
এছাড়া রংপুরের উদ্দেশ্যে রংপুর এক্সপ্রেস সকাল নয়টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে এটি ছাড়তে চার ঘণ্টা ৫০ মিনিট দেরি হবে বলে রেলের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান।
রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস দুপুর সোয়া একটার বদলে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। একই পথের সিল্কসিটি দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় থাকলে এটি অন্তত তিন ঘণ্টা দেরি হবে বলে জানানো হয়েছে। পদ্মা এক্সপ্রেস রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা এবং খুলনাগামী চিত্রা সন্ধ্যা সাতটা ছাড়তে পারবে না, অন্তত সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরি হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলের কর্মকর্তারা।
কমলাপুর থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া কথা থাকলেও এটি দুই ঘণ্টা ৩৮ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। আর ট্রেনটির বগি বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।