- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। আবারো নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচে নামলেও গত মঙ্গলবার থেকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নুন খাওয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানিও বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে আবারো ২য় দফা বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে বন্যা কবলিত মানুষজনের। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষজন।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চরাঞ্চলের চারন ভুমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট চরম আকার ধারন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার শিবের ডাংরী গ্রামে জমে থাকা বন্যার পানিতে পড়ে জাহাঙ্গীর আলমের দুই বছরের শিশু সন্তান হাসানের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩ শিশুসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার বন্যা কবলিত ৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারী ভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারী ও ব্যাক্তি উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।