নাগেশ্বরীর নায়েকের হাট মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদ নিয়ে মারামারী, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

0

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নায়েকের হাট দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদে দুই শিক্ষকের দ্বন্দে হাতাহাতি ও মারামারীর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে রবিবার ১১টায় মাদ্রাসায় বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে।

শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী জানায়, চলতি বছরের ২ জানুয়ারীতে ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল আওয়াল অবসরে গেলে সহকারী সুপার মাওলানা শাহজাহান পাক্কু হুজুর ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পান। তার দায়িত্ব পালনকালে সরকারী নিয়ম ও কমিটির লোকজনকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানে ১৫শ থেকে দুই হাজার টাকা দাবী সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযাগে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি চলতি মাসের ১৩ তারিখে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সহকারী মৌলভী একরামুল হককে ওই পদে দায়িত্ব প্রদান করে। এ নিয়ে ওই মাদ্রাসায় শুরু হয় দ্বন্দ। গত শনিবার পরিচালনা কমিটি মাদ্রাসায় মিটিং করে একরামুল হককে সকল কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এসময় আগের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহান এবং বর্তমানে দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সুপার একরামুল হকের মাঝেবকথাকাটাকাটি বাধে। এক পর্যায়েনবিষয়টি হাতাহাতি থেকে মারামারির পর্যায়ে চলে যায়।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, আগের ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহজাহানের স্বেচ্ছারিতা, দূর্নিতির কারনে ওই পদ থেকে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দিয়ে একরামুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কারণে শাহজাহান তার লোকজন নিয়ে এসে একরামুলকে মারধর করায় এ বিষয়ে থানায় অভিযাগ করা হয়েছে। সহকারী মৌলভী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব

দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন , নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়েছে।

এদিকে সকল অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করে শাহজাহান জানান, সরকারী নিয়মানুযায়ী সুপারের অবর্তমানে সহকারী সুপার ওই পদ গ্রহন করবেন। আমি নিয়মানুযায়ী ওই পদে বহাল থাকা সত্বেও সভাপতি একরামুলকে ভারপ্রাপ্ত সুপার বানিয়েছে। শনিবার দাপ্তরীক সব কাগজপত্র একরামূলকে হস্তগত করে।আমি ওই সময় কাগজপত্র রক্ষা করতে তাকে বাধা দিলে তারা আমার উপর চড়াও হয়। এ ব্যাপার আমি থানায় জিডি করেছি।

এদিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শাহজাহানের বিপক্ষে বিক্ষোভ ও মিছিল করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী তোলেন। এ ব্যাপারে শাহজাহান জানান, শিক্ষার্থীদের ভুলভাল বুঝিয়ে পরিচালনা পর্ষদ এবং একরামুল হক মিছিল মিটিং করিয়েছেন।

উপজলা শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, সব বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) ফারুখ খলিল অভিযোগ এবং জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Leave A Reply