বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি ॥ মাছ ধরার মহাৎসবে নদী পাড়ের মানুষ
- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
সেলিম রেজা, স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া ঃ বগুড়ার শেরপুরের প্রমত্তা করতোয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ ধরার মহাৎসবে মেতেছে উঠেছে নদী পারের মানুষেরা। বাধভাঙ্গা এই আনন্দে সামিল হতে সবাই বিভিন্ন ধনের জাল নিয়ে নেমে পরেছে নদীতে।
জানা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী দীর্ঘদিন পানিশুন্য ছিল। দখলবাজরা নদী দখল করে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছে আর নদী পারের মানুষ নদীতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করেছে শুকনো করতোয়া নদীতে। আর এ কারনে নাব্যতা ও যৌবন হারিয়েছিল এই করতোয়া নদী। দীর্ঘদিন পর চলতি প্রবল বর্ষণে যৌবন ফিরে পেয়েছে করতোয়া নদী। দীর্ঘদিন পর নদীতে এমন পানি দেখে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার নেশায় ঘরে থাকতে পারেনি নদী পাড়ের কেউ। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে নদীর বুকে। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝেঁপে পরেছে মাছ ধরার মহাৎসবে।
উপজেলার ফুলবাড়ি ঘাটপার, বান্নিঘাট, শেরুয়া দহপাড়া, খাগা আশ্রম ঘাট, মির্জাপুরের কুনিঘাট, খানপুরের কয়েরখালি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন মাছ ধরার চিত্র। কুনিঘাট এলাকার বেল্লাল, আজিমুদ্দিন, ফজলু বলেন, করতোয়া নদীতে পানি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। অনেকদিন পর নদীতে মাছ ধরতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে। করতোয়া নদী যেন সারা জীবন এমনি যৌবনা থাকে এই কামনাই করছি। এছাড়া করতোয়া নদী যেন অবৈধ দখলমুক্ত থাকে সেজন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, করতোয়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বগুড়ায় এই খনন কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমাদের শেরপুরেও নদী খনন করা হবে। খননের কাজ শেষ হলেই করতোয়া নদী পুনরায় যৌবন ফিরে পাবে বলে আশা করছি।
