সরিষাবাড়ীতে চাল বিতরনে অনিয়ম

0

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি

পবিত্র ইদ উল ফিতরকে ঘিরে ভিজিএফ চাল বিতরনে হচ্ছে নানা অনিয়ম ।গতকাল শনিবার ও রবিবার সহ কয়েকদিন ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা ঘুড়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রাজনীতির গ্যাড়াকলে স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পছন্দের মানুষ ছাড়া অনেকেই চাল পায়নি কেউ । মাপে কম দেওয়ার রেওয়াজ তো আছেই। ১৫ কেজি পাওয়া কথা থাকলেও প্রকৃত চাল পেয়েছে ৯-১১কেজির মত। অথচ প্রকৃত হত দরিদ্র ও অসহায় এবং এতিমদের তালিকায় নাম নেই।তালিকায় নামই কিভাবে থাকবে মাস্টাররোল তালিকায় তো করা হয়নি। পৌরসভায় ৩১০০ কার্ড,ইউপি-পোগলদিঘা ৩৯৩৬,সাতেপোয়া ২৩৪০,পিংনা ২১৪৮,ডোয়াইল ৩২০০,কামরাবাদ ১৩৫৩,ভাটারা ২৪৪০,আওনা ৩০০০,মহাদান ২৬৩১ টি ভিজিএফের কার্ড ও তালিকা করে চাল বিতরণ করছে কতৃপক্ষ । চালের কার্ড পেলেও চাল পায়নি অনেকে। তাছাড়া মাস্টাররোলে কোন নামই পাওয়া যায়নি। এমনটা হওয়ার কারণ ১৪১ জামালপুর ৪ সরিষাবাড়ী আসনে সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি পরিচয় নাম ভাঙ্গিয়ে ও দলের জন্য পৌরসভা থেকে ১৫০০, পোগলদিঘা থেকে ১৪০০,সাতপোয়া ৯০০,পিংনা ১৫০০,ডোয়াইল ১৬০০ ,কামরাবাদ ৩৫০ , ভাটারা ১২০০, মহাদান ১৩০০,আওনা ১২০০ ভিজিএফ কার্ড নিয়েছে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা । তবে এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা কিছুই জানেনা বলে দাবী করছে আওয়ামীলীগের নেতারা । জনপ্রতিনিধি ও অসাধু কয়েকজন নেতাদের চাল চুরির নজির বিহীন ঘটনায় শেখ হাসিনা সরকারের সকলউন্নয়ন সাফল্য ভেস্তে যেতে বসেছে সরিষাবাড়ীতে। এ নিয়ে জনমনে নানা ক্ষোভ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে এবং স্থানীয় সকলের মাঝে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে । ডোয়াইল,সাতপোয়া,আওনা,ভাটারা ইউনিয়ন তালিকায় রয়েছে মৃত ব্যক্তি, প্রবাসে থাকা ব্যক্তি, হোন্ডাচালক, দোকানদার, বিত্তশালী ব্যক্তিদের নাম। মহাদান ইউনিয়নে সচিব কিংবা চেয়ারম্যান ছিল না চাল বিতরনের সময় । ইউনিয়নের চকিদার দিয়ে চাল বিতরন করা হয়। চাল না পাওয়া অনেকে বলেন, একজন নাগরিকের অন্যতম মৌলিক চাহিদা হছে তার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।ভূক্তভোগী জানান, চাল কম দেয়া হচ্ছে।মহাদান ইউনিয়নের এলাকাবাসী জানায়, সকাল হতে বিতরন করা হচ্ছিল মহাদান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউনিয়নে প্রকৃত দুস্থদের নামে কার্ড না দিয়ে গোপনে জনপ্রতিনিধিরা মাস্টার রোলে নাম না লিখে তাদের নিজস্ব লোকজনের নামে কার্ড প্রদান করে। এতে দেখা যায় চাল ব্যবসায়ীরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা হতে চালের বস্তা বিভিন্ন স্থানে ভ্যানযোগে পাচার করছিল। ভ্যান যোগে চাল পাচারের সময় কয়েকজন সাংবাদিকদের হাতে আটক হবার পর সেই সব সাংবাদিকরা ৩৫০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় । তবে সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার সকলের অভিযোগ চাল বিতরনে গুরুতর অনিয়মে করেছে। তবে যারা চাল পেয়েছে তাদের ১৫ কেজির জায়গায় চাল হয় ৯-১১ কেজি । এ বিষয়ে মহাদান ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জুয়েল বলেন , এই বিষয় নিয়ে মোবাইলে কিছু বলা যাবে না । অবশ্যই দলের নাম করে ভিজিএফ কার্ড নিয়ে গেছে। কথা হলে পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান জানান , মোতাহার হোসেন জয় বলেন, চাল এর কার্ড তো নেতারা সবই নিয়ে গেছে। ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রতন বলেন , সঠিক ভাবে চাল বিতরন করছি। পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন জানান, আমার ইউনিয়নে চাল বিতরনে কোন অনিয়ম হয়নি। সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি। ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল , কামরাদের চেয়ারম্যান মনসুর রহমান খান,আওনা বেলাল হোসেন পৌর মেয়র রুকনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তারা ফোন রিসিভ করেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন , সু-নির্দিষট অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Leave A Reply