- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
সেলিম রেজা,স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিসঃ
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও জনবল সংকট নিরসনের দাবী ভুক্তভোগীদের
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা ॥ সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা ॥ সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরার ১৮ অক্টোবর ২০১৭ তে যোগদান করার পর থেকে ধীরে ধীরে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে প্রতিমাসে উদ্বুদ্ধকরণ সভা আহবানের কারনে সুষ্ঠুভাবে সেবা প্রদানের কাজ অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে মনোনিবেশ করতে কাজের মান অনুযায়ী প্রতি বছর পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়াও বছরে সর্বোচ্চ হাজিরা, কমিউনিটি ক্লিনিকে সর্বোচ্চ সেবাদান, কমিউনিটি ক্লিনিকে সর্বোচ্চ পরিদর্শন, কমিউনিকেবল রোগ সনাক্তকারী ও অফিস সময়ের পরেও বেশী সময় স্বেচ্ছায় কাজ করা কর্মচারীকে পুরস্কার প্রদানের ঘোষনাও দেয়া হয়েছে। আর এ সকল পদক্ষেপ গ্রহনের কারনে কর্মকর্তা কর্মচারীরা উজ্জীবিত হওয়ায় চিকিৎসা সেবার মান বিগত দিনের চাইতে অনেকটা উন্নতি লাভ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, গ্রামাঞ্চলে সাধারন মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহনে আগ্রহ জাগাতে আমার নিজের লেখা ও সুর করা স্বাস্থ্য বিষয়ক সংগীতের মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদানের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ইতি মধ্যে এ জাতীয় অনুষ্ঠান গত বছর খানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ও উপজেলা পরিষদে উন্নয়ন মেলায় পরিবেশিত হয়েছে। এ সমস্ত পদক্ষেপ নেয়ার ফলে এই বছরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাইয়োমেট্রিক হাজিরায় রাজশাহী বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করেছে। গাড়িদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান কমিউনিটি কিনিক জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারী মাসে ১৩ হাজার ৯শ ১৬ জন, মার্চ মাসে ১৫ হাজার ৫শ ৬৭ জন, এপ্রিল মাসে ১৫ হাজার ১শ ৬২জন, যা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪শ ৩ জন, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারী মাসে ৫ হাজার ৪শ ৩ জন, মার্চ মাসে ৫ হাজার ৮শ ৩৭ জন, এপ্রিল মাসে ৬ হাজার ৫শ ৩৭জন, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারী মাসে ৫ হাজার ৭শ ৮৫ জন, মার্চ মাসে ৭ হাজার ৭৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ হাজার ৪শ ১৬ জন, শাজাহানপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারী মাসে ৬ হাজার ৩শ ৭৪ জন, মার্চ মাসে ৭ হাজার ১শ ৫০ জন, এপ্রিল মাসে ৮ হাজার ১শ ১৩জন। আশেপাশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তুলনায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুনেরো বেশী। এ রকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য সেবা আরো বেগবান হবে বলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগী জানান।