টাঙ্গাইলে হতদরিদ্রদের চাউল বিত্তশালীদের ঘরে

0

হাফিজুর রহমান.

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নে হত-দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভি.জি.এফ এর চাল বিত্তশালীদের মধ্যে বিতরনের অভিযোগ ওঠেছে।শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, করটিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাদারজানি এলাকায় দু’জন হত দরিদ্র নয়,বেশ বিত্তশালী পরিবারকে ১৫ কেজি করে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল দেওয়া হয়েছে।ইতিপূর্বে তারা সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে বিতরনকৃত চালও পেয়েছেন।

কথা হয়,ভিজিএফ কার্ডে চাল তোলা উমেদ আলী ড্রাইভার এর স্ত্রী বিউটি বেগমের সাথে। তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার বাসায় বিল্ডিং থাকা সত্বেও কেন ভিজিএফ এর চাল তুলেছেন। জানালেন, স্থানীয় মেস্বার সফিকুল ইসলাম সফিক তাকে কার্ড করে দিয়েছে, তাই তিনি চাল তুলেছেন। একই এলাকার আরেক জন ফুল ভানু, যার অবস্থা বিউটি বেগমের চেয়েও ভালো। বাসায় বিল্ডিং ,ছেলে দেশের বাইরে থাকে,মেয়েদের বিয়ে দিয়েদিয়েছেন, স্বচ্ছল পরিবার। তিনি অকপটে স্বীকার করলেন, গতকাল ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১৫ কেজি চাল তুলেছেন। জানালেন, ১০ টাকা কেজি দরে পাওয়া চালের সাথে এই চাল মিলিয়ে খাচ্ছেন। তাকেও প্রশ্ন করা হয়, অবস্থা এতো ভালো হওয়া সত্বেও কেন তিনি হত দরিদ্র মানুষের চাল তুলছেন। এবারোও অভিযোগের তার স্থানীয় মেস্বার এর দিকে। জানালেন স্থানীয় মেস্বার তাকে কার্ড দিয়েছেন।ঢেলি করটিয়ার মৃত হোসেন আলীর ছেলে ইসমাইল (৪৫) বলেন, এই চাউল সরকার হতদরিদ্রদের দিয়েছে। অথচ আমি একজন অসহায় দরিদ্র হয়েও মেম্বারদের স্বজন প্রীতির কারনে আমি কার্ড হতে বঞ্চিত হয়েছি।

নামদার কুমুল্লীর বাবুল মিয়ার স্ত্রী আসমা জানান,আমি গরীর মানুষ, সরকার গরীর মানুষের জন্য এই চাউল দিয়েছে, অথচ মেম্বারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের নামে কার্ড করে সেই কার্ডে চাউল উত্তোলন করাচ্ছে।

এ অভিযোগ প্রসঙ্গে করটিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি স্বীকার করছি, ফুল ভানুকে ভিজিএফ কার্ড দিয়েছি। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না।তবে তিনি বিউটি বেগমের ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তাকে প্রশ্ন করা হলে, তার ওয়ার্ডের কার্ড অন্য কেউ দিতে পারে কিনা, তিনি নিরুত্বর থাকেন।

এ ব্যাপারে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, দু’একটি কার্ড বিতরনে অনিয়ম হতে পারে। আমার ইউনিয়ন অনেক বড় । আমি সব সময় চেষ্টা করি স্বচ্ছ থাকতে। তবে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে আমি বিষয়টি দেখবো। ভবিষ্যতে আরো সর্তক থাকবো।

হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নে হত-দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভি.জি.এফ এর চাল বিত্তশালীদের মধ্যে বিতরনের অভিযোগ ওঠেছে।শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, করটিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাদারজানি এলাকায় দু’জন হত দরিদ্র নয়,বেশ বিত্তশালী পরিবারকে ১৫ কেজি করে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল দেওয়া হয়েছে।ইতিপূর্বে তারা সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে বিতরনকৃত চালও পেয়েছেন।

কথা হয়,ভিজিএফ কার্ডে চাল তোলা উমেদ আলী ড্রাইভার এর স্ত্রী বিউটি বেগমের সাথে। তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার বাসায় বিল্ডিং থাকা সত্বেও কেন ভিজিএফ এর চাল তুলেছেন। জানালেন, স্থানীয় মেস্বার সফিকুল ইসলাম সফিক তাকে কার্ড করে দিয়েছে, তাই তিনি চাল তুলেছেন। একই এলাকার আরেক জন ফুল ভানু, যার অবস্থা বিউটি বেগমের চেয়েও ভালো। বাসায় বিল্ডিং ,ছেলে দেশের বাইরে থাকে,মেয়েদের বিয়ে দিয়েদিয়েছেন, স্বচ্ছল পরিবার। তিনি অকপটে স্বীকার করলেন, গতকাল ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১৫ কেজি চাল তুলেছেন। জানালেন, ১০ টাকা কেজি দরে পাওয়া চালের সাথে এই চাল মিলিয়ে খাচ্ছেন। তাকেও প্রশ্ন করা হয়, অবস্থা এতো ভালো হওয়া সত্বেও কেন তিনি হত দরিদ্র মানুষের চাল তুলছেন। এবারোও অভিযোগের তার স্থানীয় মেস্বার এর দিকে। জানালেন স্থানীয় মেস্বার তাকে কার্ড দিয়েছেন।ঢেলি করটিয়ার মৃত হোসেন আলীর ছেলে ইসমাইল (৪৫) বলেন, এই চাউল সরকার হতদরিদ্রদের দিয়েছে। অথচ আমি একজন অসহায় দরিদ্র হয়েও মেম্বারদের স্বজন প্রীতির কারনে আমি কার্ড হতে বঞ্চিত হয়েছি।

নামদার কুমুল্লীর বাবুল মিয়ার স্ত্রী আসমা জানান,আমি গরীর মানুষ, সরকার গরীর মানুষের জন্য এই চাউল দিয়েছে, অথচ মেম্বারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের নামে কার্ড করে সেই কার্ডে চাউল উত্তোলন করাচ্ছে।

এ অভিযোগ প্রসঙ্গে করটিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি স্বীকার করছি, ফুল ভানুকে ভিজিএফ কার্ড দিয়েছি। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না।তবে তিনি বিউটি বেগমের ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তাকে প্রশ্ন করা হলে, তার ওয়ার্ডের কার্ড অন্য কেউ দিতে পারে কিনা, তিনি নিরুত্বর থাকেন।

এ ব্যাপারে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, দু’একটি কার্ড বিতরনে অনিয়ম হতে পারে। আমার ইউনিয়ন অনেক বড় । আমি সব সময় চেষ্টা করি স্বচ্ছ থাকতে। তবে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে আমি বিষয়টি দেখবো। ভবিষ্যতে আরো সর্তক থাকবো।

Leave A Reply