- কাজীপুর জবর দখলকৃত জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করে উল্টো প্রকৃত জমির মালিককে ফাসানোর চেষ্টা - October 18, 2024
- ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা - October 18, 2024
- ঢাঙ্গীপুকুর আদর্শ গ্রাম নূরানী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন - October 18, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি রাজস্ব কেন ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তার কারণ জানতে চেয়ে বিবাদীদের কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের নির্বাহীকে বিবাদী করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাদী মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন, আসাদুজ্জামান মেনন নামে এক ইজারাদার ২০১৮ সালের (বাংলা ১৪২৪) ভ্যাটসহ ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ খেয়াঘাট ইজারা নেন। চলতি বছরের (বাংলা ১৪২৫) ৩০ চৈত্র তার ইজারার মেয়াদ শেষ হলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খেয়াঘাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।
২৭ এপ্রিল এই দরপত্রে তিনজন ইজারাদার অংশ নেওয়ায় ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হন মাইনুল ইসলাম। কিন্তু তাঁকে ইজারা না দিয়ে দরপত্রটি বাতিল করে দেওয়া হয়। এভাবে জেলা পরিষদ ছয়বার দরপত্র আহ্বান করে নির্ধারিত টাকায় ডাক না ওঠায় বাতিল করে।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের সরকারি সম্ভাব্য মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ওই দর অথবা তার ঊর্ধ্বে দর না উঠলে নিয়মানুযায়ী জেলা পরিষদ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টোল আদায় করবে। এ জন্য ছয়বার দরপত্র বাতিল করা হয়।
সরকার নির্ধারিত দর না ওঠায় ইজারাদার নিযুক্ত করতে না পারায় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ওই ঘাটটিতে ৫০ দিনের জন্য টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয় মাইনূল হোসেনকে। কিন্তু এখন জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অপর একজন ইজারাদারকে ঘাটটি পাইয়ে দিতে গত ১৪ মে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে।এরপর ওই ইজারাদার ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর নির্ধারণ করে। এখন ওই দরেই ঘাটটি সেই ইজারাদারকে ইজারা দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিবাদীরা। এতে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হবে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।