বগুড়ার শিবগঞ্জে মামীকে হত্যা করে ভাগ্নের আত্মহত্যা

0

সেলিম রেজা, স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া ঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জে মামীকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে ভাগ্নে। মামী অনৈতিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় ভাগ্নে তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামী আলেয়া বেগম (৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের স্ত্রী। ভাগ্নে আপেল (২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

মোকামতলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, আপেল পেশায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। ছোট বেলা থেকে আপেল নানা তোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে। দীর্ঘ দিন ধরে মামা সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভাগ্নে আপেল। তিনমাস আগে সুযোগ বুঝে আপেল তার মামী আলেয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার মামীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি মামী আলেয়া তার স্বামীকে জানালে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠক হয় এবং এ বিষয়ে আপেলকে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরও কিছুদিন ধরে আপেল তার মামী আলেয়াকে অনৈতিক কার্যকলাপের প্রস্তাব দিচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন যে যার কাজে চলে যাওয়ার পর সকাল ৯ টার দিকে ২ জন তর্কা-তর্কিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আপেল তার কাছে থাকা কাঠ কাটার ধারালো বাটাল দিয়ে মামী আলেয়া বেগমকে এলোপাথারী আঘাত করে। এতে তার কান, বুক ও পেটে গুরুতর জখম হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে আপেল মিয়া নানার বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি পরিত্যক্ত ভবনে গিয়ে ধারালো সেই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে এলোপাথারী আঘাত করে। এতে তার ভুড়ি বেড়িয়ে আসে। পরে সেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রেমঘটিত কোন ব্যাপার নয় মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে আপেল মিয়া প্রথমে তার মামীকে হত্যা করে। পরে সে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দু’জনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave A Reply