- বান্দরবানে কয়েকশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক হেডম্যান মংথোয়াই চিং - September 20, 2024
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
সেলিম রেজা স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া ঃ বগুড়ায় ইয়াছিন আলী নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার দায়ে পিতা-পুত্রসহ ৫জনের মৃত্যুদ- এবং অপর ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই রায় ঘোষণা করেন। যাদের মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে তারা হলোঃ গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন, তার দুই ছেলে মামুন ও টুটুল, ইসমাইলের ছোট ভাই আব্দুর রহিম এবং একই এলাকার ময়েন মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম। বিচারক তার রায়ে মৃত্যুদ- পাওয়া ওই ৫ জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। এছাড়া যে ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে তারা হলোঃ শাহজান আলী সাজু, সিপন (উভয়ের ৭ বছর কারাদ- এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা), সোহাগ (৩ বছর কারাদ- এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা)এবং রওশন আলী (১ বছর কারাদ- ও ১ হাজার টাকা জরিমানা)। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে শেষোক্তা দু’জন পলাতক।
বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মতিন জানান, প্রায় ১৩ বছর আগে ২০০৬ সালের ৩ জুন গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আশার আলো নামে একটি সঞ্চয় সমিতির বার্ষিক হিসাব নিকাশ চলছিল। ওইদিন সেখানে দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে ৮০ হাজার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর ভাই শফিকুল ইসলাম মিন্টু বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই ঘটনায় ইয়াসিন আলী বাদী হয়ে ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে আসামীরা ইয়াসিন আলীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়। ঘটনার ১০দিনের মাথায় আসামীরা জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে ইয়াসিন আলীর ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে। তার ৪ দিনের মাথায় ১৭ জুন সন্ধ্যায় দ-িত ব্যক্তিরা ইয়াসিন আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত ইয়াসিন আলী মোল্লা একই গ্রাম অর্থাৎ বাহারদুর পুরের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে।
ওই ঘটনায় নিহত ইয়াসিন আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬জনসহ মোট ২৫ জনের নামে গাবতলী থানায় রাতে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৪জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। এদের মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ৮জনকে দ-িত করা হয়। বাকি ৬জনকে খালাস দেওয়া হয়।