মাঠ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেস করেছে এলাকাবাসী

0

আবু মোতালেব হোসেন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেস করেছে এলাকাবাসী। এর আগে ৮ এপ্রিল জেলা শহরে চৌরঙ্গী মোড়ে শিশু কিশোরা মাববন্ধন করে জেলা প্রশাসককের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্তরে গিয়ে সমাবেস করেন তারা।

এলাকাবাসীর পক্ষে আহসানুল আরেফিন তিতুর সভাপতিত্বে সমাবেসে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক আবুল আলা মওদুদী, ফয়জুল ইসলাম, রুহুল আমিন, এমএ মতিন, শিক্ষার্থী জয় ও রিপন প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, অর্ধশত বছরের পুরোনো ওই বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আমরা বংশ পরম্পরায় খেলা ধুলা করে আসছি। শিক্ষার্থীরা বিরতীর সময় হৈ হুল্লুর করে বিনোদন করেন। আবার বিকেল হলে শিশু কিশোরসহ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্রিকেট, ভলিবল, ফুটবল, ব্যান্টমিন্টানসহ মেয়েরা কানামাছি, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়া বাধাসহ ও জাতীয় দিবস গুলি এই মাঠে বড় পরিসরে পালন করা হয়।

তারা বলেন, মাঠটি রক্ষার ব্যাপারে গত ১৮ মার্চ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেও প্রশাসনের পক্ষে মাঠ রক্ষায় কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠটি নষ্ট করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অপরিকল্পিতভাবে চারতলা ভবন নির্মানের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা খেলার মাঠটি রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কশন করেন।

এমএ মতিন তার বক্তব্যে বলেন, পাশেই জমি থাকা সত্তেও ইউএনও মহোদয় মাঠের মাঝখানে ভবন তৈরীর নির্দেশ দেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই ইউএনও এর সাথে যোগসাজশ করে তিনিও মতামত দেন। এতে করে খোলার মাঠটি খেলাধুলার জন্য অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মাঠের পরিধি একেবারে কমে এসেছে। সরেজমিনে, তদন্ত করে ভবন নির্মাণের স্থানটি নির্ধারন করার জন্য অনুরোধ জানান হয়।

পরে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে, নেজারত ডিপুডি কালেক্টটরেট (এনডিসি) মো. মাহাবুব হাসান মাঠ রক্ষার আশ্বাস দিয়ে বলেন, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ রক্ষায় জেলা প্রশাসন খুবই আন্তরিক, এমনকি সরকারও আন্তরিক। তিনি বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করা হবে।

Leave A Reply