রণদা প্রসাদ আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন ………. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

মেহেদী হাসান, টাঙ্গাইল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা আজীবন মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যেমন এক হাতে অর্থ উপার্জন করতেন, আর অন্য হাতে মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিতেন। তিনি সকলের কথা ভাবতেন। তাই তিনি দেশের বিত্তশালীদের তারই পথ অনুসরণ করতে বলেছেন, তাহলে আর আমাদের দেশের মানুষের কোনো কষ্ট থাকবে না। কুমুদিনী ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক সেবামূলক কাজ করা হচ্ছে। কুমুদিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল ধরণের সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষকে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেয়ার জন্য দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা কুমুদিনী হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। কুমুদিনী ট্রাস্ট মানবতা সেবায় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক প্রদান ও কুমুদিনীর ৮৬ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সে সময় তিনি শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লের প্রশংসাও করেন।

অন্যদিকে বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌছালে অনার অব গার্ড প্রদান করেন স্থানীয় পুলিশ বাহিনী। পরে তিনি টাঙ্গাইল জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার ১২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৯ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন, এবার রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদকে ভূষিত দেশ বরেণ্য চার ব্যক্তি পদক পেয়েছেন। তারা হলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর) পক্ষে পদক গ্রহন করেন শেখ রেহানা, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর) পক্ষে পদক গ্রহন করেন খিলখিল কাজী, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন। রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, কুমুদিনীর পরিচালক শ্রীমতি সাহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা প্রমুখ।

এসময় একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাংসদ, সচিব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক দেয়া হয় ২০১৫ সালে ২ জন এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম (মরণোত্তর) পক্ষে অধ্যাপক ডাক্তার এ.কে. আজাদ খান। ২০১৬ সালে ৩ জন প্রয়াত কবি বেগম সুফিয়া কামাল (মরণোত্তর) পক্ষে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, শাইখ সিরাজ ২০১৭ সালে ৩ জন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (মরণোত্তর) পক্ষে আরমা দত্ত, স্যার ফজলে হাসান আবেদ, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

Leave A Reply