আলুর পাঁপড়ে সংসার জীবন

0

সেলিম রেজা,স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া ঃ আলু যে শুধু তরকারি হিসাবে খাওয়া হয় তা নয়। আলুর ব্যবহার নানা মুখী। কেউ কেউ আলুর পাপড় তৈরী করে জীবন জীবিকাও চালান। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের জয়নগর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই গ্রামের কমপক্ষে বিশটির মত পরিবার আলুর পাপড় শুকাতে ব্যস্ত। আলুর মৌসুমে দাম কম থাকায় আলু কিনে কুচি কুচি করে কেটে তা শুকানোর জন্য মাঠে জালের উপর শুকাতে দেয়া হচ্ছে। একাজে ব্যস্ত নারী-পুরুষ ও শিশুরাও। জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেখা গেছে আলুর পাপড় শুকাতে দেবার এই দৃশ্য। এসময় আলুর পাপড় তৈরীর কারিগর জয়নাল, বেলাল ও জহুরুল ইসলাম জানান, বছরের এই সময়টাতে বাজারে বাদাম কম পাওয়া যায়। তাই বিকল্প হিসাবে আলু দিয়ে পাপড় তৈরী করি আমরা। এসময় বাদামের পরিবর্তে পাপড় বিক্রি করি বিভিন্ন জায়গায়। আলুর পাপড় ২০ টাকা ১০০ গ্রাম হিসাবে বিক্রি করা হয়। মুখরোচক খাবার হিসাবে আলুর পাপড় বিক্রি হয় হাটে বাজারে খেলার মাঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেও। বাজার থেকে কার্ডিনাল আলু কিনে এনে তা বাড়ির অন্ধরমহলে কুচি কুচি করে কাটা হয় এরপর ধোয়া হয়। তারপর তাতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পলিথিন কিংবা জালে শুকাতে হয় কয়েকদিন। এরপর তেলে ভেজে ভ্রাম্যমাণ ফেরী করে বিক্রি করা হয় আলুর পাপড়। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের কাছেই যেন প্রিয় মচমচে আলুর পাপড়। শেরপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের কমপক্ষে ২০টি পরিবার এই পাপড় তৈরীর সাথে জড়িত। তারা জানান, সংসারে বাড়তি উপার্জনের জন্য এ সময় পাপড় তৈরী করি। বছরের অন্য সময় অন্যান্য কাজ করে থাকি। তবে আলুর এই পাপড় সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে তৈরী সর্ম্পকে তাদের সচেতনতার অভাবও রয়েছে।

Leave A Reply