- ধনবাড়ী থানার একজন মানবিক পুলিশ ইন্সপেক্টর ইদ্রিস আলীর গল্প - October 17, 2024
- সরিষাবাড়ী গণময়দানে দীর্ঘদিন পর ধর্মসভা অনুষ্ঠিত - October 17, 2024
- ধনবাড়ীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত - October 17, 2024
সেলিম রেজা, বগুড়াঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সুবললতা জাতের উচ্চ ফলনশীল ভেজাল বোরো ধান বীজ চাষ করে শতাধিক কৃষক প্রতারনার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় সরুগ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক খৈয়ব আলী মন্ডল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। প্রতি বিঘায় ২৫-২৮ মণ ধান উৎপাদনের প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের কাছে এই ধানের বীজ বিক্রি করা হলেও একমুঠো ধানও ঘরে উঠার আশা নেই। জমিতে চারা রোপনের পর ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে ধান গাছ। উপজেলার কান্তনগর বাজারের ভাই-বোন ট্রেডার্সের মালিক গোলাম রব্বানী নামে এক ব্যবসায়ী সুবললতা জাতের উচ্চ ফলনশীল ভেজাল বোরো ধানের বীজ বাজারজাত করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার হাট-বাজার নিম্নমানের ভেজাল ধানের বীজে সয়লাব হয়ে গেছে। সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে নিম্নমানের ভেজাল ধানের বীজ বিক্রেতারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা অধিক লাভের জন্য নিজেরাই বাজার থেকে ধান কিনে চকচকে প্যাকেট তৈরি করে উন্নত জাত হিসেবে প্রচার করে অধিক মূল্যে বিক্রি করছে। এসব নিম্নমানের ভেজাল বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন। উপজেলার সরুগ্রামের কৃষক খৈয়ব আলী জানান, সার, তেল ও কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বোরো চাষ করে উৎপাদন খরচই ওঠে না। তাই এবার ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানীর কাছ থেকে বীজ কিনে বীজতলা তৈরি করি। এ বীজের চারা দিয়ে ৫ বিঘা জমি রোপণ করি। পরে ওই জমিতে সার, কীটনাশক দিতে গিয়ে দেখি ধান গাছের কোন গোছা হয়নি। এছাড়া ধান গাছ মারা যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম ও আব্দুল হাকিমসহ শতাধিক কৃষক জমিতে এই ধানের চাষ করে প্রতারিত হয়েছেন। বীজ বিক্রেতা গোলাম রব্বানী বলেন, বীজে ভেজাল ছিল কি না, জানি না। মহাজনের কাছ থেকে বীজের প্যাকেট কিনে কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছি। এই ধানের বীজ আগেও বিক্রি করেছি। কিন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে এবার যাদের কাছে এই বীজ বিক্রি করেছি সব কৃষকই এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছে। ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। ফলে বীজ বিক্রেতা গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।