সিরাজগঞ্জ জেলার একটি প্রচীন ও প্রসিদ্ধ উপজেলা কাজিপুর

0
 স্টাফ রিপোটার
সিরাজগঞ্জ জেলার একটি প্রচীন ও প্রসিদ্ধ উপজেলা কাজিপুর। জেলা সদর হতে কাজিপুর উপজেলা মাত্র ২৬ কিঃ মিঃ উত্তরে অবস্থিত। কাজিপুর উপজেলা সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ ১ এর আওতায়। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই এলাকার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী পরিবার।শহীদ এম মনসুর আলী ছিলেন স্বাধীনতার মহান স্হপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম।বঙ্গবন্ধু সরকার সহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন সততা এবং দক্ষতার সাথে,তিনি ৭৫ পরবর্তী সময়ে প্রদানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও পালন করেছেন।মনসুর আলীর স্বপ্ন ছিলো কাজিপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা।মনসুর আলীর মৃত্যুর পরে তাঁর জৈষ্ঠ পুত্র মোহাম্ম নাসিম হাল ধরেন কাজিপুরে,শুরু করেন নতুন যাত্রা পিতা হতে পাওয়া রাজৈনিত শিক্ষা নিয়ে কাজিপুর বির্ণিমানে হাত দেয়,,বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর দায়িত্বে থাকায় ক্রমানয়ে কাজিপুরে গড়ে তোলেন বহু প্রতিষ্ঠান।কাজিপুর উপজেলাকে যমুনা নদী দু ভাগে ভাগ করেছে।নদীর পশ্চিমে ৬ টি ইউনিয়ন আর পূর্বে ৬ টি। কাজিপুরের স্বপ্ন পুরুষ আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম এবং তাঁর পুত্র প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় (সাবেক এমপি,সিরাজগঞ্জ -১) নিজ হাতে গড়ে তুলেছে বর্তমান কাজিপুর কে।বিদ্যুৎ ব্যবম্হার উন্নতির ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ে গড়ে উঠেছে বহু উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,আইএচটি,ভোকেশনাল কলেজ,হাসপাতাল,টেক্সটাইল কলেজ,ম্যাটস,সহ বহু প্রতিষ্ঠান।প্রায় সকল রাস্তা ঘাট পাকা করা হয়েছে,,আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন,অডিটোরিয়াম,ডাকবাংলো নির্মাণ করা হয়েছে অথচ একই নির্বাচনী এলাকার অন্তভূর্ক্ত হওয়া সত্বেও আশানুরুপ উন্নয়ন হয়নি নদীর পূর্বপাড়ের ৬টি ইউনিয়নে,চরাঞ্চল হওয়ায় এ সকল ইউনিয়নের প্রায় রাস্তাই কাঁচা,নেই কোন উন্নত হাসপাতাল, প্রতি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১০ শষ্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল থাকলেও প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে এসব প্রতিষ্ঠান। বার বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও বিদ্যুৎ বঞ্চিত এই সকল এলাকার প্রায় ৮০ হাজার ভোটার উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত।উচ্চ শিক্ষার জন্য দারস্থ হতে হয় পশ্চিমপাড়ে,যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় তেমন কোন সুবিধা ও নেই।আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম এবং প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের অবদানে যে উন্নয়নের গণজোড়ায় কাজিপুর পশ্চিমপাশে লেগেছে তা থেকে বঞ্চিত নদীর পূর্বপাড়ের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।চরের মানুষ বরাবর ই ক্যাপ্টেন পরিবারকে ভালোবেসে, নৌকাকে ভালোবেসে চোখ বন্ধ করে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় আনে,,অথচ চরবাসী হিসেবে এ বৈষম্যে হতাশ পুরো চরাঞ্চল এর মানুষ।ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পরিবারের কাছে চরের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের একটাই দাবি চরের উন্নয়নের স্বার্থে কাজিপুর হতে নাটুয়ারপাড়া এবং নাটুয়ারপাড়া হতে সরিষাবাড়ি রাস্তা নির্মাণ করে,বিদ্যুৎতায়ন এর মাধ্যমে কলেজ,হাসপাতাল,ম্যাটস,আইএচটির মতো বহু উচ্চ প্রতিষ্ঠান পূর্বপাড়ে করা হোক।
কাজিপুরে চরাঞ্চল এর উন্নয়নের স্বার্থে অনুকম্পা নয় অধিকার চাই।

Leave A Reply