- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
- হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গাপুজা শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা - September 18, 2024
- জনহয়রানি মূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে ওয়ার্ড বিএনপি’র মতবিনিময় সভা - September 16, 2024
লাইফস্টাইল ডেস্ক : চোখের পানি বা অশ্রু চোখের ভালো থাকার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এই চোখের পানি আমাদের কর্নিয়ার পুষ্টি, আর্দ্রতা ও বাহ্যিক আঘাত থেকে প্রাথমিক প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলে। দুই চোখের ওপরের ভুরুর নিচে আছে এক জোড়া ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড বা অশ্রুগ্রন্থি, তা থেকে চোখের পানি তৈরি হয়ে ল্যাক্রিমাল থলে হয়ে ন্যাসোল্যাক্রিমাল নালি দিয়ে নাকের ভেতর চলে যায়। এ থেকেই নাকের পানি চোখের পানি একাকার কথাটার উৎপত্তি। তবে কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত চোখের পানি পড়তে থাকে, কখনো অবিরতভাবেই পড়তে থাকে। এই সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে এপিফোরা।
কেন বেশি পানি পড়ে?
কিছু কিছু সাধারণ ঘটনায় এমনিতেই বেশি পানি পড়ে চোখ থেকে। যেমন ঠান্ডা সর্দিতে বা অ্যালার্জি হলে, অনেকক্ষণ ধরে চোখ দিয়ে কোনো কাজ করলে যেমন পড়াশোনা বা স্ক্রিনের দিকে তাকালে। আবার চোখের পাতায় প্রদাহ বা গঠনগত সমস্যায় বেশি পানি তৈরি হতে পারে। কর্নিয়াতে কোনো আঘাত বা প্রদাহ, যেমন ধূলি বা ময়লা পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই বেশি পানি পড়তে শুরু করবে। চোখের অভ্যন্তরীণ যেকোনো প্রদাহেও একই অবস্থা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি বেশি চোখের পানি পড়ার অন্যতম কারণ হলো চোখ ও নাকের মধ্যকার নালিতে কোনো ব্লক বা বাধা, যা জন্মগত হয়ে থাকে। এ ছাড়া ল্যাক্রিমাল থলেতে প্রদাহ বা সিস্ট এবং নাকের ভেতর কোনো ব্লক বা বাধা থাকলেও বেশি পানি পড়তে পারে। চোখের অস্ত্রোপচারের পরও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।
সমাধান কী?
প্রথমে কারণটি খুঁজে বের করা জরুরি। এ জন্য চিকিৎসক হয়তো আপনাকে দু-একটি পরীক্ষা করতে বলবেন। যেমন ল্যাক্রিমাল থলেতে পাথর বা ব্লক আছে কি না কিংবা চোখ ও নাকের মধ্যে নালিতে কোথাও বাধা আছে কি না তা কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা। শিশুদের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নভাবে বাধা সরানোর বা নালিটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে বড়দের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.