- জনহয়রানি মূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে ওয়ার্ড বিএনপি’র মতবিনিময় সভা - September 16, 2024
- ঈদ-ই মিলাদুন্নবি (স.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত - September 16, 2024
- সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৮ জন শিক্ষক -কর্মচারীর অনাস্থা - September 16, 2024
লিটন মিয়া লাকু,গাইবান্ধা
ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত ঋতু। আবহমান বাংলার সৌন্দর্যের রাজা বলে পরিচিতি বসন্তকাল। ফালগুন-চৈত্র মাসে বসন্তের সুষ্ক আবহাওয়ায় যতদুর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমাহার। আর এরই সাথে ছড়িয়ে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ।
জেলার চাষ যোগ্য জমির আইল, বসতভিটায়, বিভিন্ন অফিস-আদালত চত্বরে, সরকারি বে-সরকারি পরিত্যক্ত ভূমি ছাড়াও এ অঞ্চলের অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে ছোট বড় আম বাগান গড়ে তুলেছেন। গত মৌসুমের তুলনায় এবার প্রাকৃতিক আবহাওয়ার ভারসাম্য ঠিক থাকায় সিংহভাগ আম গাছে প্রত্যাশিত মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষি সচেতনদের অভিমত। এখনো তেমন আমের মুকুল বিনষ্টের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়নি। গাছে গাছে মুকুলের অধিক সমাহারে সবার মাঝেই বিরাজ করছে এখন ঝড় আতঙ্ক।
গত বছরের তুলনা এ বছর প্রতিটি আমগাছে এসেছে আমের মুকুল। গ্রামে গ্রামে রয়েছে আমের ছোট বড় প্রচুর আম গাছ। মুকুল আসার পূর্বে আমগাছ মালিকরা তাদের আমের গাছের যতœ নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। গাইবান্ধা জেলার সর্বত্রই মুকুল আসা আম গাছের নানামূখী পরিচর্যা নিয়ে গাছ মালিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আমগাছি জহির উদ্দিন ও মোসলেম উদ্দিন সহ আরও অনেকে জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলার কৃষিবিদরা জানান, জেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মাঠ পর্যায়ে বসতবাড়ীর চতুরপাশ ছাড়াও দন্ডায়মান আম গাছে মুকুল থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত গাছের আম যাতে কোন কারণে বিনষ্ট না হয় সে জন্য কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে এবং কুষকদের বহুমূখী পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।