Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- জনহয়রানি মূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে ওয়ার্ড বিএনপি’র মতবিনিময় সভা - September 16, 2024
- ঈদ-ই মিলাদুন্নবি (স.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত - September 16, 2024
- সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৮ জন শিক্ষক -কর্মচারীর অনাস্থা - September 16, 2024
সোহেল রানা,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
ফুটপাত ব্যবহার হয় পথচারীদের পায়ে হাটার জন্য।কিন্তু কুষ্টিয়ার ৯০% ফুটপাত দখল হয়ে সম্পূর্ণ পায়ে হাজার অনুপযোগী হয়ে গড়েছে।
কুষ্টিয়ার ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। শুধু হকার নয়, শহরের অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করে রেখেছে কুষ্টিয়ার ফুটপাত। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মত দিয়েছেন নগরবিদ ও সচেতন নাগরিকরা।
কুষ্টিয়ার মজমপুরগেট হতে বড় বাজার, খোদ পৌরসভার সামনে থেকে পাঁচরাস্তা হয়ে জিকে স্কুল সড়ক, আবার পাঁচরাস্তা থেকে ছয়রাস্তার মোড়,চার রাস্তার মোড় হতে মোল্লাতেঘোরিয়া পর্যন্ত সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রাস্তার দুই ধারের ব্যবসায়ীরা । ফুটপাত! পায়ে চলার পথ। অথচ এই পথের অনেকটাই রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের দখলে। এমনিতেই গাড়ির চাপ তার ওপর ফুটপাত দখল। দখলমুক্ত করতে পৌরসভার অভিযান চালাচ্ছে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।
শহরের মধ্যে দেখা যায় পৌরসভার উন্নয়নের অংশ হিসেবে নতুন ড্রেন হচ্ছে আর ড্রেন এর উপর দিয়ে ফুটপাত হিসেবে ব্যবহারের কথা হলেও সেটা শহরের দোকানিদের পন্য সাজানোর স্থান হয়েগেছে।অনেক পথচারী ক্ষোব প্রকাশ করে বলেন,” আমরা শুধু ট্যাক্স দিবো আর নাগরিক সুবিধা ভোগ করবোনা এটা সাংবিধানিক নিয়ম না”।কয়েক জন পথচারি বলেন, “কু্ষ্টিয়া পৌরসভার কর্মকর্তরা যদি অফিসে ঘুমিয়ে না থেকে রাজনৈতিক প্রভাবের উর্ধেগিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখল মুক্ত করে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, তবে সাধারন মানুষ কিছু দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।” এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রেজাউল করিম বরেন,” এখন’ই যদি ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীদের পায়ে হাটার জন্য উন্মুক্ত করে না দেয় তবে আগামি দিনে সাধরন মানুষের পায়ে হাটার জন্য আর ফুটপাত খুজে পাওয়া যাবেনা।ঢাকার থেকেও খুব ভয়াবহ অবস্থা হবে কুষ্টিয়ার। ” এ বিষয়ে কয়েক জন দোকানদার কে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, “দোকান গুলো ছোট আর ডিসপ্লে না থাকলে কাস্টোমারকে আকর্ষণ করা যায় না। আর আগে ফুটপাত যে খানে ছিল সেখান থেকে ফুটপাত দোকান’র অংশে সরে আসায় বাধ্য হয়ে ফুটপাত দখল করে পন্যের ডিসপ্লে দেওয়া লাগছে।” তবে শুধু পন্যের ডিসপ্লেই না অনেকেই ফুটপাতের উপর বেকারীর রান্নাবান্না বেঁচাবিক্রি সহ সবই হচ্ছে।স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্র তার আবেগ দিয়ে বলেন,”আমাদের ফুটপাত যদি গরিব হকার দখল করতো তবুও মনে সান্তনা দিতাম, কিন্তু বড় বড় ব্যবসায়ীরা যে ভাবে দখল করে ফেলছে যা ভবিষ্যতে উদ্ধার করা পৌরসভার জন্য বড় চ্যালেন্ঞ্জ হয়ে যাবে।”কু্ষ্টিয়া শহরের সচেতন মানুষ মনে করেন ফুটপাত পায়ে হাটার জন্য, তাই অতিদ্রুত ফুটপাত দখল মুক্ত করে জনগনের পায়ে হাটার জন্য ফিরিয়ে দিতে হবে।