ধনবাড়ীতে পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে মুরগির খামার বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

এস,এম আব্দুর রাজ্জাক:

ধনবাড়ীতে পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে মুরগির খামার বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগ তিনি বলেন, আমার থাকার ঘর সংলগ্ন পোল্ট্রি ফার্ম করে ব্যবসা করিতেছে। আমার ঘরের পাশেই ফার্মের বিষ্ঠা ফেলে রাখে। পোল্ট্রি ফার্ম ও পোল্টির বিষ্ঠার গন্ধে ঘরে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাড়ির লোকজন নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
মাস কয়েক আগে থোড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় ১০০০ হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।

টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের থোড়া গ্রামে পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে গ্রাম এলাকায় পোল্ট্রি খামার এবং অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ মৃত: আফছার আলীর ছেলে মো: মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে।
ধনবাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত: মুহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ সুরুজ্জামান। পোলট্রি খামারটির সাথেই মোঃ সুরুজ্জামানের বাড়ি। তিনি বলেন, বিষ্ঠার দুর্গন্ধে ঘরে থাকা দায়। আমার পরিবারের শিশুরা এই দুর্গন্ধ থেকে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, খামারের পাশেই মসজিদ মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গ্রামের মৃত: মুহাম্মদ আলী এর ছেলে মো: সুরুজ্জামান। গতকাল থোড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বসতবাড়িতে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, খামারের পাশেই মসজিদ বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায় মুসলিমদের নামাজের বিঘ্ন ঘটে। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খামারে গিয়ে কথা হয় মালিক মোশাররফ হোসেন এর সাথে তার কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় খামারে সকল আইন কানুন মেনে খামার করা হয়েছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি না বলেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.