বগুড়ার শেরপুরে ইউএনও’র উপর হামলা ও গাড়ি-ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার ৮জন

সেলিম রেজা, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুরে অবৈধ বালু মহলে অভিযান চালানোর পর ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলার ঘটনানায় শেরপুর থানায় মামলা দায়ের মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য শনিবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী নলডিঙ্গী এলাকায় বালুদস্যুদের ভাড়াটে লোকজন ঘটনাটি ঘটায়। এসময় এসিল্যান্ড অফিসের দুই কর্মচারি আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন- উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের অফিস সহকারি উজ্জল মোহন্ত ও নৈশ্যপ্রহরী মুঞ্জুরুল হক। তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ইউএনও’কে বহনকৃত (এ্যাসিলেন্ড এর) গাড়িটিতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার দিন দুপুরের পর থেকেই উপজেলার শেরুয়া বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে তাঁর নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। এসময় খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী নবীনগর ও নলডেঙ্গি এলাকায় বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর আসে। পরবর্তীতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

কিন্তু সেখানে কাউকে না পাওয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সরঞ্জামগুলো খোলা হচ্ছিল। এসময় বালু উত্তোলনকারীদের ভাড়াটে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলেন। একইসঙ্গে চড়াও হন। এমনকি তারা উত্তেজিত হয়ে তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এসময় তাঁর সঙ্গে অভিযানে থাকা ওই দুইজন সদস্য বাধা দিতে গেলে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়েই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। একইসঙ্গে ইউএনও স্যারসহ ওই অভিযানের সব সদস্যদের উদ্ধার করেন। উক্ত ঘটনায় জড়িত কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটকৃতরা হলো গজারিয়া গ্রামের তোজাম এর ছেলে ইব্রাহিম, গোলাম নবীর ছেলে শাহিন শাহ, মেহের আলীর ছেলে ফরহাদ, জাফর প্রামানিকের ছেলে আলম, হাফিজুরের ছেলে ওসমান, গোলাম নবীর ছেলে মেহেদী, নলডাঙ্গা গ্রামের আশরাফ প্রামানিকের ছেলে ফরহাদ শাহাজান আলীর ছেলে রুবেল। এই ঘটনায় ৮০ থেকে ৮৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে নৈশপ্রহরী বাদী হয়ে শেরপুর থানায় মামলা করেছেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.