কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযানের পরও অক্ষত স্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে রেলপথের দু’ধারের সমস্ত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও স্টেশনের পার্শ্বের একটি কাঁচাপাকা বিল্ডিং ঘর রহস্যজনক কারনে উচ্ছেদ না করায় লালমনিরহাট অতিরিক্ত ষ্ট্রেট অফিসারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহারা হয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনাতিপাত করছে অনেক পরিবার।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে,রাজারহাট রেলওয়ে স্টেশনের পুর্ব-পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে রেল পথের দু’ধারে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ছিল। কুড়িগ্রাম এক্্রপ্রেস চালুর পর রেল পথের সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে গত সোমবার উচ্ছেদ অভিযানে নামে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট ষ্ট্রেট বিভাগ। এসময় অতিরিক্ত ষ্ট্রেট অফিসার এবিএম গোলাম মোস্তফার উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা ও বৈধ লিজকৃত সমস্ত স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এমনকি রেল রেলপথ ও সড়ক পথের দক্ষিনে অবস্থিত দূরের স্থাপনাগুলোও তারা ভাঁঙ্গেন। তবে স্টেশনের পার্শ্বেই পূব-পশ্চিমে অবস্থিত প্রায় ১০০ফিট লম্বা কাঁচাপাকা একটি বিল্ডিং ঘর অক্ষত রাখা হয়। এতে করে ঢাকা পড়া রেল স্টেশনটি ঢাকাই থেকে যাওয়ায় স্থানীয় জনমনে অতিরিক্ত ষ্ট্রেট অফিসারের নিরপেক্ষতা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

এবিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে অতিরিক্ত ষ্ট্রেট অফিসার এবিএম গোলাম মোস্তফা জানান,আমি নামাজে গেছি সে সময় আইডব্লিউ ইঞ্জিনিয়ার একটা হরকারিতা করেছে,প্রয়োজন হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেটিও ভেঙ্গে ফেলা হবে।

 

এদিকে খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী হরিজন পরিবারের অভিভাবক বাবুলাল জানান,বুল্ডডোজারের আঘাতে আমার বাড়িঘর ও জিনিসপত্র সব পিষ্ট হয়ে গেছে। এখন কোথায় ঘুমাবো,কি করবো কিছুই জানিনা।

 

ভ্যান চালক মাইদুল জানান, মা-ভাই-বোন সহ পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানা নেই। বাড়ি-ঘর ভাঙ্গার পর থেকে খোলা আকাশের নীচে আছি। এমনি বহু পরিবার দিশেহারা হয়ে পরেছে।

 

রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী দূর্দশাগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে আর্থিক সহযোগীতা ও পূনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেছেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.