বিচার দাবীতে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন গোবিন্দগঞ্জে মৎস্যজীবিকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ২২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা ॥ আটক ৪

 

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি পুকুর ইজারা প্রদানে অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বেসরকরি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী দলকে স্বাক্ষাৎকার দেয়ায় এক মৎস্যজীবিকে মারপিট ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১২জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামী করে রোববার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার ও পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিমন তালুকদার বাদী হয়ে এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তনয় কুমার দেব ও উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দু মোহন রায় স্বপনকে সাথে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪২। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহার নামীয় সোমবার বিকাল পর্যন্ত ৪ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে।

আহত মৎস্যজীবি উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মৃত চৈতা হাওয়ালদারের পুত্র সম্ভু চরণ দাস (৪৫)। সম্ভু মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ও পূজা উদযাপন পরিষদ মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য। সে বর্তমানে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে সম্ভু মাঝিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে মারপিট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলার মৎস্যজীবিরা। সোমবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুকিতুর রহমান রাফি , রগাঁও মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, গুমানীগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ধলু মিয়া, মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী শিবাস চন্দ্র, কামারদহ মৎস্যজীবি সমিতি’র সদস্য মোস্তাফিজার রহমান সহ মৎস্যজীবি সমিতির নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলেন, গোপনে পুকুর লীজ নেওয়ার বিষয়ে সত্য ঘটনা তালাশ টিমের কাছে বলায় মৎস্যজীবি সম্ভু কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে এসে বেদম মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে তাদের অবিলম্বে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.