পাকিস্তান-আফগানিস্তান-বাংলাদেশের মুসলমানদের তাড়ানো হবে

ভারতের ২৫ কোটিরও বেশি মুসলমানকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভাই ও তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই মন্তব্য করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তবে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলোর নাগরিক রয়েছেন দাবি করে এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভারতের মুসলমানদের সঙ্গে মিশে থাকা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলোর মুসলমানদের শিগগিরই তাড়ানো হবে।

সম্প্রতি চলমান ভারতীয় নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় পঞ্জী (এনআরসি) কর্মসূচির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য বরেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

বিজেপির কলকাতা সদর দফতরে বসে এক বিবৃতিতে রাহুল সিনহা বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানসহ অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে আসা মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করেছে এবং বহাল তবিয়তে আছে।

তিনি দাবি করেন, ভারতের বাইরের মুসলমানরা রেশন কার্ড ও ভোটার লিস্টে নাম তুলে ভারতীয় সেজে বাস করছে।

এদের চিহ্নিত করে এবার এদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে মন্তব্য করেন রাহুল সিনহা।

অন্যদিকে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বলেছেন এই বিজেপি নেতা।

তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলমান আমাদের সমান মর্যাদা সম্পন্ন নাগরিক। তাদের নাগরিকত্বে কোনো কাটছাট হবে না। ভারতীয় মুসলমান আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।

তবে এসআরসির বিষয়ে বরাবরই ভিন্নমত দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কে ভারতীয় আর কে অভারতীয় সে ভেদাভেদে যেতে একেবারেই নারাজ এই তৃণমূল সভানেত্রী।

পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেবেন না জানিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়িতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা রাজ্যে কোনো ভেদাভেদ মেনে নেব না। আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যে শুধু বন্দোপাধ্যায় থাকবে আর কেউ থাকবে না! এমনটা আমি ভাবতেই পারি না। বরং আমি বলব বন্দোপাধ্যায় চলে যাক। মানুষ থাকুক।

তিনি আরও বলেছিলেন, আমি আপনাদের পাহারাদার। একটা মানুষকেও বাংলা থেকে যেতে দেব না। যারাই এ রাজ্যে বসবাস করেন তারাই বাংলার বাসিন্দা। যাদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের এখনই ভোটার তালিকায় নাম নথিভূক্ত করতে হবে।

মমতার এমন সব মন্তব্যের পরই কলকাতায় বসে এমন সব মন্তব্য করলেন বিজেপির রাহুল সিনহা।

সূত্র: কলকাতা২৪, এবিপিআনন্দ

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.