- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিরই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অন্যতম নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মনি। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তার সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অবস্থায়ই কিলিং মিশনে অংশ নেন তিনি।
কামরুন নাহার মনির বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, তার মা বসে বসে কাঁদছেন। স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
মনির স্বামী রাশেদ খান রাজু জানান, ঘটনার পূর্বের রাতে ডায়রিয়া ও পেট ব্যথার কারণে সকালে মনিকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শেষে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে দিয়ে এসেছিলেন। পরে পিবিআই সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে ড্রিল মেশিন দিয়ে পেটের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দিলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তার বিশ্বাস, মনি এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে না। হাইকোর্টে আপিল করে ন্যায় বিচার পাবেন।
এদিকে কারারুদ্ধ মনি গত ২১ অক্টোবর জন্ম দেন কন্যাসন্তানের। এখন তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন সে রায়টি কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন, পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল কোর্টে শুনানি হবে।
এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি আরও অনেক সময় লাগবে। কয়েক বছর লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কামরুন নাহার মনির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। এবং কামরুন নাহার মনির শাস্তি কার্যকর হতে পারবে।
তবে, এলাকাবাসী বলছেন, উচ্চ আদালতে মনির দণ্ড লাঘব হলেও এ শিশুটি ভবিষ্যতে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ এ হত্যা মিশনে কামরুন নাহার মনির যে ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন তার সাজা তাকে ভোগ করতেই হবে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কীভাবে তিনি সহপাঠীকে হত্যার মতো ঘৃণ্য কাণ্ডে তিনি যুক্ত হলেন সেটি নিয়ে হতবিহ্বল তারা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.