খালেদাকে বিদেশ নিতে চায় পরিবার চিকিৎসার জন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে চায় তার পরিবার। এ ব্যাপারে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন বলে জানান খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম।

শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখার করার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীর অত্যন্ত খারাপ। এখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না। আর এখানে তার চিকিৎসা হবেও না। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চাই।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার বোন বলেন, ‘প্যারোলের ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। উনি জামিনে মুক্তি পেলে আমরা উনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাব।’ এ ব্যাপারে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিকাল চারটার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পরিবারের ছয় সদস্য বিএসএমএমইউতে যান। তাদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার মেঝ বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শামীম আরা বিন্দু, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দারসহ ছয়জন।

এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আরও শোচনীয় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড ব্যথা-বেদনায় রাতে মোটেও ঘুমাতে পারছেন না খালেদা জিয়া। আগের তুলনায় বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। দুই মাস আগে তার দাঁতের এক্সরে করা হলেও এখন পর্যন্ত সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। যেহেতু বেগম জিয়ার ব্লাড সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত তাই তার দাঁতের সমস্যার কারণে চোখসহ শরীরের অন্যান্য সমস্যা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।’

‘এছাড়া বারবার ইনসুলিন পরিবর্তন এবং ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করার পরেও কোনো অবস্থাতেই তার সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কোনো কোনো সময় এটি ২৩-২৪ মিলিমোল পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে খাবারের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেয়াতে শরীরের ওজন অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে। তিনি হাঁটতে পারেন না, হাত নাড়াতে পারেন না।’

একটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কারা হেফাজতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.