ধর্মীয় সম্প্রীতির রোলমডেল বাংলাদেশ

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, খাদ্য ঘাটতি পূরণ, রফতানি, শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন, উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বহু বিষয়ে বাংলাদেশ রোলমডেল হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আজকে যদি পৃথিবীর সব দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন ধর্মীয় সম্প্রীতির রোলমডেল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ পৃথিবীতে এক নম্বর উদাহরণ হতে পারে।’

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ‘বিজা সম্মিলন ২০১৯’ আয়োজনে অংশ নিয়ে এই আশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

 

দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মায়ের কাছে শোনা একটি গল্প বলেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশের বাড়ি ছিল হিন্দুদের। ওই বাড়ির সামনেই আমাদের মসজিদ। যে মসজিদে আমরা এখনও নামাজ আদায় করি। মাগরিবের নামাজের যখন আজান দিতেন আমার দাদা, তখন হিন্দুরা উলুধ্বনি দিত। কিন্তু কখনও সম্প্রীতি নষ্ট হয় নাই। উলুধ্বনি ও আজানের আওয়াজের কারণে কখনও সাংঘর্ষিক মানসিকতার সৃষ্টি হয় নাই। এরকম একটা সম্প্রীতি ছিল আমাদের মাঝে।’

শারদীয় দুর্গাপূজা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে হিন্দু, মুসলমান সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়, মনে হয় যেন এখানে একটি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একটা মিলনমেলা। এখানে কোনো ভিন্নতা নেই, এখানে কোনো বিভক্তি নেই, এখানে কোনো অসম্প্রতি নাই। এ দেশটারই স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) জুয়েল আরেং, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.