সরকারি পুকুর ইজারা প্রদানে অনিয়ম নিয়ে টেলিভিশনে অনুসন্ধানী দলকে স্বাক্ষাৎকার দেয়ায় গোবিন্দগঞ্জে মৎস্যজীবিকে গুরুতর আহত করায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

 

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে সরকারি পুকুর ইজারা প্রদানে অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বে-সরকরি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী দলকে স্বাক্ষাতকার দেয়ায় এক মৎস্যজীবিকে পরিকল্পিতিভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করার অভিযোগে ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আহত মৎস্যজীবি উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মৃত চৈতা হাওয়ালদারের পুত্র সম্ভু মাঝি (৪৫) বলে জানাগেছে।

গুরুতর আহত সম্ভু মাঝির পরিবার জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টার দিকে সম্ভুকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে পরিকল্পিতভাবে কোচাশহর এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়ে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দইহারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহিন মিয়া (৪৫) ও কিছু অপরিচিত লোকজন বেদম মারপিট করে। এসময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় সম্ভু মাঝিকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এবং সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে সম্ভু মাঝিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে মারপিট করার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে মহিমাগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। তাঁরা অবিলম্বে মৎস্যজীবি সম্ভু মাঝির উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দাবী করেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান রোববার দুপুরে জানান, মৎস্যজীবি সম্ভু মাঝিকে মারপিটের সাথে জরিত উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শ্রীমুখ গ্রামের নুরুল আমিন চেংটু’র পুত্র রাসেল (২৮), আঃ রশিদেও পুত্র মোনারুল (৩০) ও আজাহারের পুত্র অনু মিয়া (৩৫)কে আটক করা হয়েছে।

অপরদিকে রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর রেঞ্জের ডিঅইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য’র সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করে মৎস্যজীবি সম্ভু মাঝির উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের সকলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি রনজিৎ বক্সী সূর্য্য’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি তনয় দেব, সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলার রিমন কুমার তালুকদার, জেলা সদস্য চঞ্চল সাহা সহ রংপুর মহানগরের নেতৃন্দ।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.