কাউন্সিলর রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার রাতে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরা মাদক মামলায় সাতদিন ও অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ভাটারা থানার মাদক মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এ সময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। পরে তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় র‌্যাব। রাতভর ওই অভিযানে পাঁচ কোটি টাকার চেক ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।

মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, আমরা মোহাম্মদপুরে তার বাসা এবং অফিসে তল্লাশি করেছি। সেখানে তেমন কিছু পাইনি। কারণ আমরা যা বুঝতে পেরেছি তার বাড়িতে আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত যেসব ডকুমেন্ট ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

তার রাজকীয় বাড়িটির বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বাড়ির প্রত্যেকটা আসবাবপত্র সে বাইরে থেকে আমদানি করেছে। এসব জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে মনে হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে দৃশ্যমান কোনো ব্যবসাই ছিল না তারেকুজ্জামান রাজীবের।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.