অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কবলে সরকারী প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে

মতিউর রহমান সরিষাবাড়ি,জামালপুরঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের দুরাত্তো বেড়েই চলেছে লাগামহীন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অদৃশ্য শত্তির দাপটে বহমান নদী থেকে ু উত্তোলন করছে বালু। অবৈধ নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে রয়েছে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট।

সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনার শাখা নদী ও ঝিনাই নদীতে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে দ্বেদারছে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই শাখা নদী (চর ধারা বর্ষা) থেকে পাশাপাশি ৩টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে ওই এলাকার কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী। গ্রাম ঘেষেই নদী। পাশেই রয়েছে ধারা বর্ষা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। অল্প দক্ষিণে রয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেলি ব্রীজ। অল্প পূর্ব পাশে একটি কালভার্ট ব্রীজ অবস্থিত। অপরদিকে সরিষাবাড়ির দক্ষিণাঞ্চল পিংনা ইউনিয়নে যমুনা শাখা নদী থেকেও বালু উত্তোলন থেমে নেই। মাঝ নদীতে অল্প অল্প দুরত্বে বসানো হয়েছে একাধিক ড্রেজার মেশিন। হুমকিতে রয়েছে পিংনা বাজার, রসপাল জামে মসজিদসহ নদী তীরবর্তী বসত ভিটা। প্রতি বছরই বন্যায় ভাঙ্গন দেখা দেয় নদী তীর। সরকারী অর্থায়নে ভাঙ্গন রোধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসিসহ নানা স্থপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ দিন কোন জোড়ালো অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় নির্বিঘেœ বালু উত্থোলন করছে বালু খেকোরা।

নদী পাড় বসতিদের অভিযোগ রয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষা মৌসুমে তাদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। পানির তোড়ে নদী তীর ভেঙ্গে যাওয়ায় তারা আতঙ্ক গ্রস্থ। এলাকাবাসি আরোও জানায় বালু উত্তোলনকারীরা সরকার দলীয় নেতা-কর্মী। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় বেড়েই চলেছে অবৈধ বালু উত্তোলন। অচিরেই সরকারীভাবে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে লাগামহীন বালু খেকোদের জন্য দুর্ভোগের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.