এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড: আবরারের বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ্। তিনি বলেন, ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে ছেলে হত্যার বিচার চাই।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে আবরারের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই অভিযোগ করেন তিনি।

গত রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় হত্যা একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকতুল্লাহ। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

সকালে আবরারের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর তার বাবা বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যে ছেলেটা বিকাল পাঁচটায় ঢাকায় পৌঁছাল তাকে আটটার দিকে নির্যাতন করার জন্য ডেকে নিয়ে গেল। ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালাল, এটা অবশ্যই পরিকল্পিত।’

আবরার হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাসীন দলের বড় কোনো নেতার নির্দেশ আছে বলে অভিযোগ করেছেন তার চাচা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো নেতার ইন্ধন রয়েছে। কেননা দু-একজন নয়, সেখানে ১৫ জনেরও বেশি ছেলে হত্যায় অংশ নিয়েছে। পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া এতজন কাউকে মারতে পারে না। হাইকমান্ডের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.