অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও অদক্ষতার কারনে কুষ্টিয়ায় ৪৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক কোটি টাকা মূলের আইসিটি ডিজিটাল ল্যাব মাকসা আর গুনে খাচ্ছে
- পদক জয়ীদের সংবর্ধনা দিল উপজেলা প্রশাসন - December 1, 2023
- শেষ সময়ে দৌড়ে গিয়ে জাতীয় পার্টি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম জমা - December 1, 2023
- মধুপুর-ধনবাড়ী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক - November 30, 2023

কুষ্টিয়া থেকে সোহেল রানার তথ্য ও ভিডিও চিত্রে ডেস্ক রিপোর্ট। অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও অদক্ষতার কারনে কুষ্টিয়ায় ৪৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক কোটি টাকা মূলের আইসিটি ডিজিটাল ল্যাব মাকসা আর গুনে খাচ্ছেতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের উপযোগী জ্ঞান ভিত্তিক দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষা প্রচলনের যাত্রা শুরু ২০১২সালে। আধুনিক বিশ^ায়নের সাথে তাল মেলাতেই প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশব্যাপী বিশাল কর্মযজ্ঞ গ্রহণসহ বিপুল পরিমান অর্থ ও প্রয়োজনীয় আইটি উপকরনের যোগান দেয় সরকার। কিন্তু অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতার কারণে এসব সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন অভিযোগ সঠিক নয়, তবুও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস তাদের।
মনিরুল ইসলাম, একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী, সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া। সাদিয়া জামান, দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী, সরকারী মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া। .রফিকুল ইসলাম, একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী .নুরুন্নাহার খানম, একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বলেন শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে (২০১২-২০২১) এক দশকের মহাপরিকল্পনা অংশ হিসেবে সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ১শ’মার্কসের আবশ্যিক আইসিটি বিষয় প্রনয়ণ করে। আইসিটি বিষয়ের বিভিন্ন ধাপের ভিত্তিতে বছর ওয়ারী অগ্রগতির নির্দেশনা থাকলেও তার কোন প্রতিফলন ঘটছে না জেলার ৪৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২লাখ,২৪হাজার ৩শ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে। প্রতিষ্ঠানগুলিতে নেই ল্যাব, যেখানে নামমাত্র আছে তাও আবার অকেজো, অব্যবহৃত বা অপব্যবহৃত, নেই স্বচ্ছ ধারনার কোন শিক্ষক। এক রকম খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে জেলার আইসিটি শিক্ষা কার্যক্রম। বাধ্যতামূলক হওয়ায় শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ করতে বই মুখস্থ ছাড়া বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ দিয়ে পরিত্রাণের আবেদন শিক্ষার্থীদের।বিষয় নিয়ে সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন.কুষ্টিয়া জিলা স্কুল প্রধান শিক্ষক, এফতেখারুল ইসলাম, বলেন, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা আয়োজনের বিষয় তুলে ধরে ফিরিস্তি দিলেন কুষ্টিয়ার শীর্ষস্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয় জেলা স্কুলে শিক্ষক। তিনি ফিরিস্তি তুলে ধরলেও শিক্ষার্থীদের দেয়া অভিযোগ খন্ডনে যৌকিক্ত কোন চিত্র দেখাতে পারেন নি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানটিতে কোটি টাকা মূল্যের আধুনিক ল্যাব থাকলেও তা অব্যবহৃত হয়ে আছে মাসের পর মাস ধরে। এমনকি তিনি ডিজিটাল বা আইসিটি শিক্ষাকার্যক্রম সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিব্রত বোধ করেন। ইকবাল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, জীববিদ্যা বিভাগ, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া। নিহারঞ্জন বকসি, সহকারী অধ্যাপক, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া তারা বলেন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আইসিটি বিষয় প্রনয়ন করা হয়েছে; সেক্ষেত্রে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভে প্রয়োজনীয় ল্যাব ও শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের সুবিধা বঞ্চনার কথা জানিয়েই দায়িত্বরত শিক্ষকবৃন্দও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনে সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান, বলেন মাধ্যামিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও অদক্ষতার ফলে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছেনা শিক্ষার্থীরা এমন কথা স্বীকার করেই এই পরিস্থিতির উত্তোরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানালেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কুষ্টিয়া মোঃ হাসান হাবিব, বলেন শিক্ষা, আইসিটি ও ডিজিটাল কুষ্টিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিক্ষার্থীরদের আইসিটি শিক্ষার সুযোগ না পাওয়ার কথাটি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সবকিছুই ঠিক ঠাক আছে এবং চলছে। এবিষয়ে কোন অভিযোগ তিনি জানেন না বলে জানালেন